নাপোড়া ছড়া
অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাপোড়া মিরপাড়া এলাকায় ছড়া ও পাহাড় থেকে পুইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য শের আলীর নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী প্রভাব কাটিয়ে এইসব অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। বালু উত্তোলনের বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করায় তিনি সংবাদকর্মীকে গালাগালি ও হুমকি প্রদান করেন।
সরে জমিনে দেখা যায়, সিকদার বাড়ি জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশের ছড়া, মসজিদের পূর্ব পাশ এবং গাছের ব্রিজের দক্ষিণ পাশে জোসনা মাস্টার বাড়ির সামনের এলাকায় রাতের আঁধারে নিয়মিতভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। রাতভর বালুবাহী ট্রাক চলাচল করলেও এগুলো দেখার কেউ নাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন রাত আনুমানিক ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত একাধিক বালুবাহী ট্রাক ছড়া ও পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে। এসব ট্রাকের অনেকগুলো নতুন প্যানেল মেম্বারের দোকানের সামনে দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে, যা এলাকাবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বালুবাহী গাড়ির চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, এই বালু সাবেক ইউপি সদস্য শের আলীর।
চালকদের এই বক্তব্য থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনের পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে যাদের নাম এসেছে
স্থানীয় সূত্র ও এলাকাবাসীর অভিযোগ অনুযায়ী, এ কার্যক্রমে জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মেম্বার ও পুইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি শের আলী, আবুল কালাম (কালু), মীর আহমেদ (কালু সদাগর), মিনহাজ উদ্দিন, জাহাদুল ইসলাম, ইমতিয়াজ, মোহাম্মদ দেলোয়ার, মোঃ সোহেল, ইসমাইল, আব্দুল মালেক, আনোয়ার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, মনোয়ারা বেগম, শাকারা বেগম, জিয়াবুল হক, নজরুল ইসলাম ও দিদারুল ইসলাম।
এছাড়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেট্রো–শ ১১–২৫৫৮ নম্বরের একটি বালুবাহী ট্রাক এই অবৈধ কার্যক্রমে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বক্তব্য নিতে গিয়ে গালাগালি ও হুমকির অভিযোগ
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য শের আলীর কাছে বক্তব্য জানতে গেলে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং হুমকি প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, প্রশ্ন করার একপর্যায়ে তিনি অশালীন ভাষায় গালাগালি করেন এবং বলেন কোনো সাংবাদিক আমার কিছু করতে পারবে না।
গ্রাম পুলিশ বিভু পাল বলেন, আগে জিজ্ঞাসাবাদের পর কিছুদিন কার্যক্রম বন্ধ ছিল, কিন্তু পরে আবারও বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।”
এই বিষয়ে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সহকারী (ভুমি) ওমর সানি আকন জানান, ইতিপূর্বে বাঁশখালীতে বিভিন্ন অবৈধ ভালো মহলে আমরা বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছি। কেউ অবৈধ ভালো উত্তোরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
ভিওডি বাংলা/ জয়নাল/ আ







