ভবিষ্যত রাজনীতির বাতিঘর তারেক রহমান

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আরও বেগবান হবে: মির্জা ফখরুল
তারেক রহমান দেশে ফেরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লড়াই ও সংগ্রাম আরও বেগবান হবে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে আসায় শুধু দল নয়, দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রাম আরও বেশি বেগবান হবে। আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার যে নির্বাচন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে লড়াই ও সংগ্রাম- সেটা নিঃসন্দেহে আরও বেগবান হবে। একইসঙ্গে আমাদের দল বিএনপি আরও উজ্জীবিত হবে। ৫ই আগস্টের পর দেশে যে নৈরাজ্য ও সহিংসতা হচ্ছে তা অনেকাংশে কমে আসবে- এখন যেটা হচ্ছে, সেটা বাংলাদেশে সব সময়ই কম-বেশি হয়, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, এখানে গণতন্ত্রের চর্চা না হওয়ার জন্য যে অবস্থা বিরাজ করেছে প্রতিবার এবং আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদের শাসন চালিয়ে যে উগ্রবাদের জন্ম দিয়েছে, তাতে করে এটা একটু একটু করে হয়। এটা নিয়ে বেশি চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু দেখি না। আমি মনে করি, তারেক রহমান দেশে ফেরায় দেশের মানুষ অনেকটা আশ্বস্ত হবে এবং এই প্রবণতা হয়তো কমে আসবে।
রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন: মঈন খান
তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন। এখন থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে আমি লক্ষ্য করেছি-তারেক রহমান ঘরে বসে রাজনীতি করেননি, তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে জনগণের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সুদূর লন্ডনে থেকেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়েছেন, তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। গত ১৭ বছর ধরে চরম রাজনৈতিক সংঘাতের মুখেও তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিএনপিকে বারবার ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু এই দল জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে প্রতিবারই “স্ফিংস” এর মতো জেগে উঠেছে। সর্বশেষ তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। তিনি আজ থেকে দুই দশক আগে যে তৃণমূলের রাজনীতি শুরু করেছিলেন আজকে সেই রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এটা প্রতীয়মান হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পর বিএনপি’র ঝাণ্ডা হাতে নেন তারেক রহমান। তার সুদীর্ঘ সময়ের নেতৃত্বে দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সংগঠিত হয়েছে; যার চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত বছরের ৫ই আগস্ট বাংলাদেশকে একটি নতুন ভবিষ্যতে পরিচালিত করছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন রাজনীতিকে অনুসরণ করে এবং তারেক জিয়ার দিকনির্দেশনায় আমরা পুনরায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশের জনগণ নতুন করে উজ্জীবিত হবে- এই বিশ্বাস আমাদের আছে।
নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা হোক: মাহমুদুর রহমান মান্না
আমরা চাই- হতাশা কাটিয়ে উঠে একটা সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা সরকার প্রতিষ্ঠা হোক। যার মাধ্যমে স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হয়। যে স্বপ্ন আমরা ’২৪-এর অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নির্মাণ করেছিলাম। ৫ই আগস্টের পর দেশে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিএনপি’র কাছে প্রত্যাশা থাকলে বরং হতাশা আরও বেড়েছে। আমরা চেয়েছি ৫ই আগস্টের পর থেকে দেশে পরিবর্তন হোক, সেই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বিএনপি। আমরা সেটা প্রত্যাশাও করি। কিন্তু এ রকম কিছু হয়নি। বরং বিভিন্ন ঘটনায় মানুষের মধ্যে হতাশা আরও বেড়েছে।
সবদিক থেকেই বিএনপি শক্তিশালী হবে: আমীর খসরু
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার মধ্যদিয়ে শুধু সাংগঠনিক দিক থেকে নয়, সবদিক থেকেই বিএনপি শক্তিশালী হবে। নেতা যখন উপস্থিত, সেটার অনুভূতিটাই তো আলাদা। তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সারা দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিএনপি’র একার বিষয় না। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের টর্চবিহার, আর উনি দেশের গণতন্ত্রের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাওয়া, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া। মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণে আমাদের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার দেশে ফেরার প্রত্যাশা শুধু বিএনপি’র একার নয়, সমগ্র দেশের মানুষের। উনি (তারেক রহমান) আসায় দেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চলছে, উনি আসায় আরও বড় আকারে মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ওদিকেই মানুষের মনোযোগ এখন বেশি। যারা এটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তারা তো দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হতে পারেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা দেশের মানুষ কোনোভাবেই সহ্য করবে না। দেশের মানুষ সব সময় নির্বাচনের পক্ষে।
নেতাকর্মীদের ভবিষ্যৎ কারও কলমের খোঁচায় নয়, আল্লাহ্ নির্ধারণ করেন: আন্দালিব রহমান পার্থ
তারেক রহমানের ফিরে আসাটা একটা বার্তা। রাজনৈতিক নেতাদের ভবিষ্যৎ কখনো কারও কলমের খোঁচায় হয় না। এটা জনগণ ঠিক করেন, আল্লাহ্ ঠিক করেন। তারেক রহমান আসবেন- এটাই বাস্তব। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তির কেন্দ্রে তারেক রহমান; তার আসার মাধ্যমে একটা নতুন নির্দেশনা পাবে। একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আমার প্রত্যাশা, তিনি আসার পর আমরাও একটা সঠিক পথ পাবো। যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিতে কাজ করছেন তারা অনেকেই কিছুটা সন্দিহান। তিনি আসার পর তাদের আত্মবিশ্বাসটাও বাড়বে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা পালবিহীন নৌকার মতো। এর থেকে উত্তরণ ঘটবে। তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা আছে। আমি মনে করি প্রশাসন, ব্যক্তিগত সিকিউরিটি, নেতাকর্মী, জনতা সঠিক পদক্ষেপ নেবেন- যাতে তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না।
তারেক রহমান জাতীয় পুনর্গঠনে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা রাখবেন: জোনায়েদ সাকি
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় পুনর্গঠনে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা রাখবেন এক্ষেত্রে তারেক রহমানের ইতিবাচক ভূমিকা থাকবে বলেও মনে করেন তিনি। তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন, এটা বিএনপি’র জন্য যেমন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তেমনি উনি জাতীয় নেতৃত্ব হিসেবে ভূমিকা রাখবেন সেটি মানুষ প্রত্যাশা করেন। বিএনপি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। এদেশে গণতন্ত্র উত্তরণে তাদের ভূমিকা জরুরি। ফলে তারেক রহমানের উপস্থিতি নিশ্চয় এটাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে আরও তারা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এটাই মানুষের প্রত্যাশা। বিএনপি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় কিছু অভিযোগ উঠেছে। সেসব বিষয় নিশ্চয় আরও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপস্থিতি একটা ভূমিকা রাখবে। সেটাও মানুষ প্রত্যাশা করে।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবেন: নূরুল হক নুরু
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসায় দেশের পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আশা করি, বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ সংকট দূরীকরণ থেকে শুরু করে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে তিনিবড় ভূমিকা রাখবেন। তিনি আসার পর বিএনপি’র নেতাকার্মীরা সংগঠিত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। আগামীর নির্বাচনের জন্য যাতে সকল দল একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পায়, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিএনপি একটা বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি। বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ভূমিকা অনেক। তারা আপসহীনভাবে লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। দীর্ঘ সময়ের এই আন্দোলনে পেছন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। তিনিই নেতাকর্মীদের মনোবল অটুট রেখেছেন। ২০২২ সাল থেকে ৩৯টি দল নিয়ে যে যুগপৎ আন্দোলনে দলগুলোকে এক জায়গায় আনার ক্ষেত্রে তার একটা ইতিবাচক ভূমিকা ছিল। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিএনপি’র সরকার গঠন করার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। যেহেতু তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের বাইরে আছেন। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা কাজ করছে বিএনপি’র নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ভিওডি বাংলা/ এম




