বাস, লঞ্চ, ট্রেনে দলে দলে ঢাকামুখী বিএনপির নেতাকর্মীরা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গণসংবর্ধনায় অংশ নিতে সারা দেশ থেকে বাস, লঞ্চ, ট্রেনে দলে দলে ঢাকায় আসছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় আসছেন প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পূর্বাচলে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট সড়ক) নেতাকর্মীরা জমায়েত হচ্ছেন। ঐতিহাসিক মুর্হূতের সাক্ষী হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকা অভিমুখে রওনা দেন নেতাকর্মীরা। পথে পথে স্লোগানে মুখর হয়ে তাদের উল্লাস করতে দেখা গেছে।
মাদারীপুর: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আমগনকে ঘিরে মাদারীপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় গেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী আনন্দ উল্লাস নিয়ে জেলা ছাড়েন।
মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান জানান, দীর্ঘ ১৭ পর তারেক রহমানকে দেশের মানুষ কাছে পাবেন। স্বাভাবিকভাবে সবাই খুশিতে আত্মহারা। তারেক রহমান দেশে না থাকলেও নেতাকর্মীদের কাছাকাছি ছিলেন। অনলাইনে তার বক্তব্য শুনেছেন। এখন সবাই স্বচোখে দেখবেন।
টাঙ্গাইল: জেলার ঘারিন্দা রেলস্টেশন থেকে চারটি বিশেষ ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কাক ডাকা ভোরে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে স্টেশনে এসে জমায়েত হন। এ সময় বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয় রেলস্টেশন। এ ছাড়াও বুধবার থেকেই ব্যক্তিগত যানবাহন মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও গণপরিবহনে করে নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাতে ও একনজর দেখতে ঢাকায় গণসংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের দাবি, টাঙ্গাইল থেকে ৪টি বিশেষ ট্রেন, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহনে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঢাকায় যাচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সিরাজগঞ্জ থেকে বিশেষ ট্রেনে ঢাকা উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন নেতাকর্মী ঢাকা উদ্দেশ্য রওনা করে। বৃহস্পতিবার ভোরে ৬টায় সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এই যাত্রায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
সিরাজগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সির জাহিদ আলম বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রিয় নেতা স্বদেশে ফিরছেন। এজন্য আমাদের সব নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাতে আমরা সবাই নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।
বরিশাল: তারেক রহমানকে বরণ করতে রাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে চারটি লঞ্চে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন হাজারো নেতাকর্মী। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে টার্মিনাল চত্বর। এ ছাড়াও, শতাধিক বাসে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার নেতাকর্মীরা ঢাকার সমাবেশে যোগ দেন। পটুয়াখালী থেকেও ছেড়ে যায় একাধিক লঞ্চও।
কক্সবাজার: পর্যটননগরী কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসছেন হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক। আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বিশেষ ট্রেন। এছাড়া নিজস্ব পরিবহনেও নেতাকর্মীরা রওনা দেন ঢাকায়।
চট্টগ্রাম: জেলা থেকে নেতাকর্মীদের জন্য একটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি রাতে তুর্ণা এক্সপ্রেস, ঢাকা মেইলেও বিশেষ বগি বরাদ্দ নেয়া হয়। এ ছাড়া বাস-ব্যক্তিগত গাড়িতেও যান নেতাকর্মীরা।
রাজশাহী: রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে কোরে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। ধুমকেতু এক্সপ্রেসে যুক্ত করা হয় অতিরিক্ত তিনটি বগি। পঞ্চগড় স্টেশন থেকে একটি স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে যায়। এছাড়া সিরাজগঞ্জের মালশাপাড়া থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে শতাধিক বাস ছেড়ে যায়।
বগুড়া: বুধবার সকালে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত বগুড়ার সদর, শিবগঞ্জ ও গাবতলীসহ ১২ উপজেলা থেকে ঢাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে রওনা দেন ৫ শতাধিক বাস। অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও রওনা হন রাজধানীতে।
এ ছাড়া, বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য ভোলায় ১৫টি ও চাঁদপুরে তিনটি লঞ্চ রিজার্ভ করা হয়। সিলেটে ট্রেনে যুক্ত করা হয় অতিরিক্ত তিনটি বগি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন ঢাকার পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় তাকে দেয়া হবে সংবর্ধনা। যেখানে লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ/এমএম



