তেঁতুলিয়ায় তীব্র শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে

দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। হিমালয়ের কোল ঘেঁষে আসা হিমশীতল বাতাসে জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে নেমে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এর আগের দিন তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি কমেছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই পঞ্চগড় ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে হিমেল বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সকালে হালকা রোদ থাকলেও তাতে তেমন কোনো উত্তাপ নেই। ফলে দিনভর কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা ও শীতল বাতাসের দাপটে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উপজেলা সদরের অটোভ্যান চালক তরিকুল ইসলাম বলেন, “এই কনকনে শীতে সকালে ভ্যান নিয়ে বের হওয়া অসম্ভব। ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা জমে যায়।” অন্যদিকে, মহানন্দা নদীতে পাথর তুলতে নামা শ্রমিক মিজানুর রহমান জানান, বরফশীতল পানিতে পাথর তোলা এখন জীবনযুদ্ধের মতো। তবুও পরিবারের মুখে অন্ন জোগাতে শীতের মাঝেই কাজে নামতে হচ্ছে।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, হিমেল বাতাসের কারণে জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বাতাসের গতি ও আর্দ্রতার কারণে ঠান্ডার প্রকোপ কমছে না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে এবং শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
ভিওডি বাংলা/জা







