• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মীর আরশাদুল হক

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে তারেক রহমানকে সমর্থন

ভিওডি বাংলা ডেস্ক    ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ পি.এম.
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক। সংগৃহীত ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক। একই সঙ্গে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন।

এনসিপিতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ছাড়াও মীর আরশাদুল হক নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য, মিডিয়া সেল ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, পরিবেশ সেলের প্রধান এবং চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) আসনে দলটির মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সাবেক সহসভাপতি।

ছাত্রজীবনে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রতিবাদে সক্রিয় ছিলেন মীর আরশাদুল হক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হন। পরে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে এনসিপি গঠিত হলে সেখানেও যোগ দেন তিনি।

১৭ বছর পর লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপি ছাড়ার ঘোষণা দেন মীর আরশাদুল। ‘একটি বিশেষ ঘোষণা’ শিরোনামে ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি এই মুহূর্তে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করলাম। চট্টগ্রাম–১৬ সংসদীয় আসনে এনসিপির প্রার্থী হিসেবেও আমি নির্বাচন করছি না। আজ এমন একটি দিনে এই ঘোষণা দিচ্ছি, যেদিন ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। সুস্বাগতম।’

এনসিপি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত ১০ মাসের অভিজ্ঞতায় আমার কাছে স্পষ্ট হয়েছে, দলটি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যে স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলাম, তার কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছেন বলে আমি মনে করি। এই ভুল পথে আমি চলতে পারি না।’

গণতন্ত্রে উত্তরণ ও দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠাকে সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মীর আরশাদুল লেখেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার কাছে মনে হচ্ছে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের কোনও বিকল্প নেই। তার বক্তব্য ও কার্যক্রম বিশ্লেষণে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ—এই মুহূর্তে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা তার মধ্যেই রয়েছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘যখন অন্য দলগুলো ধর্ম ও পপুলিজমকে প্রধান এজেন্ডা বানাচ্ছে, তখন তারেক রহমান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে একটি স্পষ্ট ভিশন তুলে ধরছেন। এই স্মার্ট ও বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিই আমাকে আকৃষ্ট করেছে।’

তরুণদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে মীর আরশাদুল বলেন, ‘পপুলিজম বা হুজুগে না ভেসে দেশের ভবিষ্যৎ ও সামগ্রিক স্বার্থ বিবেচনা করে তারেক রহমানের জনকল্যাণমূলক ভিশন বাস্তবায়নে তরুণদের সহযোগিতা করা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’

মীর আরশাদুলের পদত্যাগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এনসিপির কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দলীয় একটি সূত্র জানায়, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এনসিপির জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দলের ভেতরে মতবিরোধ রয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে জোটে যেতে অনিচ্ছুকদের একজন ছিলেন মীর আরশাদুল হক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর আরশাদুল হক বলেন, ‘এনসিপি সামগ্রিকভাবে ভুল পথে চলে গেছে। তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রত্যাশা পূরণে তারা ব্যর্থ। এই দলে থেকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয় মনে করেই আমি পদত্যাগ করেছি। দেশের স্বার্থে আমি বিএনপি ও তারেক রহমানকে সমর্থন করছি।’

তিনি জানান, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে।

ভিওডি বাংলা/ আ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মালদ্বীপে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন মেহজাবীন-আদনান
মালদ্বীপে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন মেহজাবীন-আদনান
ইশরাকের দুঃখ প্রকাশ
ভাইরাল সেই ভিডিও ইশরাকের দুঃখ প্রকাশ
দাদুকে নিয়ে জাইমা রহমানের স্মৃতিচারণ
খালেদা জিয়া দাদুকে নিয়ে জাইমা রহমানের স্মৃতিচারণ