তারেক রহমানের ফেরা
একদিকে সংবর্ধনার ভিড়, অন্যদিকে ঈদের মতো ফাঁকা ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর একটি অংশে ব্যাপক জনসমাগম ও যান চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকার বড় অংশ ছিল ঈদের দিনের মতোই ফাঁকা।
বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হননি। ফলে আসাদগেট, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় সড়কগুলোতে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড ও পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে বিপুল মানুষের সমাগম হয়েছে। এ কারণে মহাখালীর আমতলী থেকে বনানীগামী সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কেবল বিদেশগামী যাত্রী ও জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রগতি স্মরণীর বসুন্ধরা গেট পর্যন্ত মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বিমানবন্দর সড়কে জনসমাগম বনানী কবরস্থান ছাড়িয়ে যায়।

এর বাইরে রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা। বড়দিনের ছুটি ও যানজটের আশঙ্কায় মানুষ বাইরে বের না হওয়ায় গণপরিবহন ও যাত্রী—দুটোরই সংখ্যা ছিল কম।
সাভার থেকে মতিঝিলগামী ওয়েলকাম পরিবহনের চালক জসিম বলেন, ‘আজ সড়কে গাড়ি খুব কম। সিগন্যালে তেমন দাঁড়াতে হয়নি। অন্যদিন যেখানে দেড়–দুই ঘণ্টা লাগে, আজ ফার্মগেট আসতে লেগেছে পৌনে এক ঘণ্টা। কিন্তু যাত্রী না থাকায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া ঠিক হয়নি।’
মিরপুর থেকে আসা বিকল্প পরিবহনের চালক ফরিদ বলেন, ‘মিরপুরের দিকেও সড়ক ঈদের দিনের মতো ফাঁকা। বন্ধের দিন হওয়ায় যাত্রী খুবই কম।’
বাংলামোটর মোড়ে রাইড শেয়ার চালক মো. আল-আমিন বলেন, ‘প্রগতি স্মরণী ও বিমানবন্দর সড়কে মানুষের ভিড় বেশি, কিন্তু গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেট এলাকায় সড়ক একেবারেই ফাঁকা। যাত্রী না থাকায় আয়ও কম হয়েছে।’
ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, সকালে যানজট না থাকলেও বিকেল ও সন্ধ্যায় মানুষের সমাগম বাড়লে চাপ তৈরি হতে পারে। বাংলামোটর মোড়ে দায়িত্বে থাকা রমনা বিভাগের ট্রাফিক সার্জেন্ট রবিউল বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় এবং মানুষ বিমানবন্দরমুখী থাকায় ঢাকার দক্ষিণাংশে যানবাহনের চাপ নেই। তবে বিকেলে সংবর্ধনা শেষ হলে চাপ বাড়তে পারে।’

তবে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে মহাখালী এলাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় পতাকায় সজ্জিত বাসগুলো মহাখালী এলাকায় পার্ক করার পর হাজার হাজার নেতাকর্মী পায়ে হেঁটে সংবর্ধনাস্থলের দিকে যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে কাকলী দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি মহাখালীর আমতলী থেকে বনানীগামী সড়কে সাধারণ গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। তাকে বহনকারী ফ্লাইট বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে সংবর্ধনাস্থলের দিকে রওনা হন।
ভিওডি বাংলা/ এসএইচ/আ



