হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া
মাকে দেখে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে প্রথম দিনেই চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মায়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেন রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে গুলশানে নিজ বাসায় ফিরে আসেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমানের আগমনের কিছুক্ষণ আগে হাসপাতালে পৌঁছান তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়ি হাসপাতালের প্রধান ফটকে পৌঁছালে তিনি গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন। তার আগমন ঘিরে সকাল থেকেই হাসপাতাল গেটের সামনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়। গাড়ি হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশের সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও দলীয় নির্দেশে হাসপাতাল এলাকায় স্লোগান না দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এর আগে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, একজন সন্তান হিসেবে তার মন মায়ের শয্যার পাশেই পড়ে আছে। তবে যাদের জন্য তার মা জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই মানুষদের ফেলে রেখে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ইমিগ্রেশন সম্পন্নের পর ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তারেক রহমান। পরে তার শাশুড়ি ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করেন। এ সময় স্ত্রী জুবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (বিজি-২০২) উড়োজাহাজটি বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং যাত্রাবিরতির পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ



