বন্ধ শীতবস্ত্র বিতরণ
রাজারহাটে ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন স্থবির

প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। থমকে গেছে মানুষের কাজকর্ম। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে যানবাহন। সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ি দেয়ায় পথ-ঘাট কোন কিছুই দেখা যায় না। ফলে পথচারীরা পড়েন চরম বিপাকে। বিশেষ করে গাড়ী চালকরা পূর্ব অভিজ্ঞতায় গাড়ী চালিয়ে যান। এছাড়া ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা দিন-রাত খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় রাজারহাট উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে ঠিকভাবে সূর্যের দেখা নেই এ জনপদে। ফলে কৃষি শ্রমিকরা হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জীবিকার তাগিদে কাজ করতে দেখা যায়।
অটোরিক্সা চালক আ. রহিমসহ বলেন, হামার এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়া শুরু হয়। সকালে তো দুরের কথা, সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। ঘর থেকে মানুষ বিশেষ কাজ ছাড়া বের হয় না।
তিস্তার গতিয়াসাম চরের ছিন্নমূল মানুষ রহমত আলী, সিরাজুল ইসলাম, আয়শা বেগমসহ অনেকে বলেন, গতবছর এ চরে কিছু কম্বল বিতরণ করা হলেও এবারে এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। তবে ভোট চাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে কয়েকজন আসেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ইউএনও স্যার রাত জেগে জেগে শীতার্তদের পাশে গিয়ে শীতবস্ত্র কম্বল দিয়েছেন। কিন্তু সরকারিভাবে ত্রান বিতরণের নিষেধাজ্ঞা প্রজ্ঞাপন আসায় আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, শনিবার(২৭ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলমান পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ভিওডি বাংলা/ প্রহলাদ মন্ডল সৈকত/ আ





