নবাবগঞ্জ
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ শীতের প্রকোপ ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। ডিসেম্বরের শেষভাগে এসে কনকনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকা কুয়াশা জনজীবনে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। পৌষ মাসের শুরুতেই জেঁকে বসা এই শীতের দাপটে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং উপজেলার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরের আলো ফোটার আগেই নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। সকাল থেকে হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় সড়ক ও হাটবাজারে মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, আর যারা বের হচ্ছেন তারা মোটা শীতবস্ত্র পরে চলাচল করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট যেন আরও স্পষ্ট। ভাসমান শ্রমিক, দিনমজুরেরা শীতের সঙ্গে লড়াই করছেন খোলা আকাশের নিচে। কেউ জড়ো হয়েছেন আগুন জ্বালিয়ে, কেউ আবার পুরোনো কম্বলের ভেতর গুটিসুটি মেরে বসে আছেন। শীত তাঁদের কাছে যেন শুধু ঋতু নয়, প্রতিদিনের সংগ্রাম।
কৃষিখাতেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার তর্পনঘাট গোলাবাড়ি গ্রামের কৃষক অধীর চন্দ্র রায় জানান, এভাবে শীত ও কুয়াশা চলতে থাকলে বোরো ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শীতল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমে গেছে। এ মাসের ২৮ তারিখ থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে এবং মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এ অবস্থা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
ভিওডি বাংলা/ অলিউর রহমান মিরাজ/ আ





