• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ডিপ ফেইক

সাংবাদিকদের ‘এআই লিটারেসি’ জানতে হবে : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১ পি.এম.
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি-সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুলস সাংবাদিকতাকে সহজ করলেও তা নানা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। ভয়াবহ মিথ্যা ও ডিপ ফেইক থেকে বাঁচতে সাংবাদিকদের অবশ্যই ‘এআই লিটারেসি’ জানতে হবে।

ডিআরইউ সদস্যদের জন্য সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের সম্ভাবনা, ঝুঁকি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত দু’দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার শেষদিন শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘এআই পাওয়ার্ড জার্নালিজম’ শীর্ষক এ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস সচিব বলেন, এআই পাওয়ার্ড জার্নালিজম এমন একটি বিষয়, যা সবার সমানভাবে জানা দরকার। এটি ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই। একদিকে এআই টুলস সাংবাদিকতায় উৎকর্ষতা আনতে সহায়তা করবে, অন্যদিকে ডিপ ফেইক শনাক্ত করতে সাহায্য করবে-কোনটি এআই জেনারেটেড আর কোনটি নয়।

তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি যে তথ্য দিচ্ছে তা সত্য কিনা-এটি যাচাই করতে হলে পড়াশোনা ও যাচাই-বাছাই করতে হবে। এআই ব্যবহার করলেও সাংবাদিককে নিজের পরিশ্রম করতে হবে। বরং এআই কোথায় ভুল করছে, তা ধরতে গেলে আরও বেশি খাটুনি প্রয়োজন। তবে এআইয়ের মাধ্যমে কাজ সহজ হবে এবং কাজের সক্ষমতা বাড়বে।

শফিকুল আলম বলেন, বর্তমানে এআইয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ডিপ ফেইক। প্রতিদিন হাজার হাজার ডিপ ফেইক, সন্দেহজনক ছবি ও ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়ছে। এসবের ভিড়ে কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা-তা চেনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে এআইয়ের অপব্যবহারের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এআই সবচেয়ে ভয়াবহভাবে ব্যবহার হচ্ছে মাইনরিটিদের বিরুদ্ধে। অনেক দেশে মাইনরিটি প্রটেকশনের কথা বলা হলেও বাস্তবে এআই ব্যবহার করে তাদের জীবন বিপন্ন করে তোলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন এআইয়ের প্রাথমিক ধাপে আছি। অচিরেই এমন ভিডিও টুলস আসবে, যেখানে আমার কণ্ঠ, ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে আমাকে দিয়ে ২০ মিনিটের বক্তব্য তৈরি করা যাবে। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি, তারা হয়তো যাচাই করে বুঝতে পারব, কিন্তু ভুরুঙ্গামারীর একজন সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারবে না।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি, যেখানে প্রত্যেক সাংবাদিককেই ফ্যাক্ট চেকারের ভূমিকা পালন করতে হবে। আদতে এই দায়িত্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর নেওয়া উচিত হলেও তারা ‘ফ্রিডম অব প্রেস’-এর অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ঘৃণা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনপদ অশান্ত করা হলেও কোনো জবাবদিহি নেই।

তিনি বলেন, এআই আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু একই সঙ্গে এআই জার্নালিজম ও এআই টুলস সাংবাদিকতাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তাই এআই লিটারেসি এখন অপরিহার্য। কেউ যদি বলেন তিনি এআই লিটারেসি জানেন না, তার সাংবাদিকতা করা উচিত নয়। সবাইকে আহ্বান জানাই-এআই সাংবাদিকতা শিখতে হবে। এটি শিখতেই হবে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে ভবিষ্যৎ দেখছি সেখানে যেন ক্রিটিক্যাল জার্নালিজমের সুযোগ থাকে
তারেক রহমানের নেতৃত্ব যে ভবিষ্যৎ দেখছি সেখানে যেন ক্রিটিক্যাল জার্নালিজমের সুযোগ থাকে
সরকারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মাহমুদুর রহমান
সরকারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মাহমুদুর রহমান
হামলার ঘটনায় বিএফইউজে ও ডিইউজের নিন্দা ও প্রতিবাদ
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার হামলার ঘটনায় বিএফইউজে ও ডিইউজের নিন্দা ও প্রতিবাদ