• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি    ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩ পি.এম.
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।সংগৃহীত ছবি

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩ টি দান সিন্দুকে ১১ ঘণ্টায় গণনা শেষে পাওয়া গেল ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা।

কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেল ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮হাজার ৫৩৮ টাকা। ১৩ টি দান সিন্দুকে ৩৫ বস্তা টাকা গণনা করে এবার এ টাকা পাওয়া গেছে। টাকা রূপালী ব্যাংকের হিসাবে জমা করা হয়েছে।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলার পর টাকা গণনা সকাল থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় রাত আটটায়।  

এর আগে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট  (৪ মাস ১৭দিনে) ১৩ টি দান বাক্সে ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। 

‎৩ মাস ২৭ দিন পর আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে পাগলা মসজিদের ১৩টি দানসিন্দুক খুলে পাওয়া গেছে ৩৫ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। জেলা শহরের নরসুন্দা নদী তীরের ঐতিহাসিক এ মসজিদে লোহার দানসিন্দুকগুলো তিন থেকে চার মাস পরপর খোলা হয়। 

‎পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণত তিন থেকে চার মাস পরপর দানসিন্ধুক খোলা হয়। এবার ৩মাস ২৭দিন পর দানসিন্দুক খোলা হয়েছে। এরপরও রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। প্রথমে টাকাগুলো লোহার সিন্দুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের ২য় তলায়  মেঝেতে ঢেলে গণনার কাজ শুরু করা হয়।  

‎পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সের নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদাসার ও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ৩৬০ জন ছাত্র, ৩৩জন শিক্ষক ও স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন স্টাফসহ প্রায় ৫০০ জন টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। 
‎এসময় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। 

‎কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা ও পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন এর নেতৃত্বে সকাল ৭টায় ১৩ টি দানসিন্দুক খোলা হয়। 

‎এ সময়  কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান মারুফসহ ১৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেসী, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পাগলা মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

‎কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন  ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম নির্দশন। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি স্থাপিত। জনশ্রুতী আছে, সহীহ্  নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। সে জন্য দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন।

মানুষ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করে থাকেন ।

‎বর্তমানে পাগলা মসজিদ এর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০৪ কোটি টাকা ও অনলাইনে জমা হয়ছে ১২ লক্ষ ৮৯ হাজর ৯ শত ৪৩ টাকা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক।

ভিওডি বাংলা/ মোঃ ওমর সিদ্দিক রবিন/ আ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নবাবগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ মাদক সেবীর কারাদণ্ড
নবাবগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ মাদক সেবীর কারাদণ্ড
প্রকাশ্যে বিচার দাবি জানিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
হাদি হত্যা প্রকাশ্যে বিচার দাবি জানিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
ট্রেন চলাচল বন্ধ, গফরগাঁওয়ে রেললাইনে আগুন
মনোনয়নবঞ্চিত নেতার সমর্থকরা ট্রেন চলাচল বন্ধ, গফরগাঁওয়ে রেললাইনে আগুন