তারেক রহমানকে কটূক্তি
জামিন পেলেন সেই শহিদুল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার এ কে এম শহিদুল ইসলামকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা তাকে জামিন দেন। এদিন শহিদুল ইসলামের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আগামী ১২ জানুয়ারি এ মামলায় তার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান।
জানা যায়, শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে তোলা হয়। এরপর শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক হাসানুজ্জামান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
এ সময় তার আইনজীবীর নিবেদন মতে জামিন আবেদন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শনিবার জুলাই বিপ্লবী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদি এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান।
পুলিশ বলছে, কবর জিয়ারতের সময় শহিদুল ইসলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কটূক্তি করেন। তিনি ‘চাঁদাবাজ’ ও ‘সন্ত্রাসী’ বলে চিৎকার করছিলেন। বিষয়টি দেখে সেখানে উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর করেন। পরে তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দেয় বিএনপি। শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।
এজন্য বিএনপি গণতন্ত্র তথা মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। নিজের মতপ্রকাশের কারণে এ কে এম শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো ঠিক হয়নি। তাই অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
শহিদুল ইসলাম রাজধানীর গাবতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ




