জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের মৌলিক অধিকার: জাতিসংঘ

জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর শুধু পরিবেশগত সংকট নয়; এটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বলেন, জলবায়ু সংকট মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও বাসস্থানের অধিকারকে ক্রমাগত ক্ষয় করছে। অথচ এই সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব এখনও প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জয়িতা গুপ্তা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে দরিদ্র দেশ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তার মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেই কোটি কোটি মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে পড়ে- আর বিশ্ব সেই সীমা ইতোমধ্যেই অতিক্রম করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে। এতে বহু মানুষ ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারিয়ে বাধ্য হয়ে স্থানান্তরিত হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনে এখনো তাদের ‘জলবায়ু শরণার্থী’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। দুর্যোগ ও দারিদ্র্যের কারণে তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধনী দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণই এই সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর দ্রুত নিঃসরণ কমানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি সহায়তা বাড়ানো জরুরি।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার আলাদা বিষয় নয়। রাষ্ট্রগুলোকে পরিবেশ রক্ষা ও মানবাধিকার সুরক্ষার দায় একসঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
জাতিসংঘের মতে, জলবায়ু স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা মানেই মানুষের অধিকার রক্ষা। এজন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা ও ন্যায্য পদক্ষেপ এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি।
তথ্যসূত্র: ইউএন নিউজ
ভিওডি বাংলা/জা







