মিয়ানমারে ‘সাজানো’ নির্বাচনে তরুণদের অনীহা

মিয়ানমারে অতীতের নির্বাচনে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো হলেও রোববারের জাতীয় নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ ছিল কম। এর তুলনায় ভোটকেন্দ্রে বয়স্কদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর অনেক মানুষ দেশ ছাড়েছেন। এতে বাধ্যতামূলক সামরিক নিয়োগের বয়সসীমার পুরুষ এবং অর্থনৈতিক সুযোগ খোঁজায় থাকা তরুণরা প্রধান। যারা রয়ে গেছেন, তারাও ভোটে খুব আগ্রহী নন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা নির্বাচনের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধের মধ্যেই মিয়ানমারে নির্বাচন শুরু
মার্ডালয়ের এক বাসিন্দা জানান, ভোটে অংশ নেওয়া অধিকাংশই বয়স্ক নাগরিক। ইয়াঙ্গুনের সোনালি সুলে প্যাগোডার কাছে একটি ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে, ভোটারদের মধ্যে শিশু-কোলে মা ও বাজারের ঝুড়ি হাতে গৃহিণীও লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১ হাজার ৪০০ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে কেবল ৫০০ ভোটারই ভোট দিয়েছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাত চলমান। এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, ‘‘এটি শুধু সৈন্যদের পোশাক বদলে বেসামরিক ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যবস্থা।’’
জান্তা শাসন ভোটকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন হিসেবে প্রচার করছে। তবে ভোট কেন্দ্র ও আশপাশে অস্বাভাবিক নীরবতা বিরাজ করছে। নির্বাচনে জোর প্রয়োগ ও নিরাপত্তাজনিত চাপের কথাও উঠে এসেছে।
পিপলস পাইওনিয়ার পার্টির প্রার্থী ওয়াই ফিও কিয়াও বলেন, ‘‘ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া মানুষের জন্য ভালো নাও হতে পারে।’’
সূত্র: এএফপি
ভিওডি বাংলা/জা







