রাজশাহীর
২৪ টি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে জুনিয়র ও দাখিল বৃত্তি পরীক্ষা

রাজশাহী জেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা এবং ইবতেদায়ি পঞ্চম শ্রেণী ও দাখিল অষ্টম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে মোট ২৪টি কেন্দ্রে বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা এবং অপর ১১টি কেন্দ্রে ইবতেদায়ি পঞ্চম শ্রেণী ও দাখিল অষ্টম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাগুলো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রাজশাহীতে মোট সাত হাজার ৪৮৪ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধিত ছিল। এর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল সাত হাজার ১৭০ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৩১৪ জন শিক্ষার্থী। দাখিল অষ্টম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় মোট নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮৩৪ জন।
এদের মধ্যে ৭৯০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং ৪৪ জন অনুপস্থিত ছিল। অন্যদিকে ইবতেদায়ি পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় মোট এক হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধিত থাকলেও পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল এক হাজার ১৫৬ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৪৭ জন।
সকালের দিকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নির্ধারিত সময়ের আগেই শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করে। কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের মাঝেও ছিল সন্তানের ভালো ফলের প্রত্যাশা। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পরীক্ষা চলাকালে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ এবং পবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন। তারা কেন্দ্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত কক্ষ পরিদর্শক, কেন্দ্র সচিব ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
পবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন জানান, বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হয় ও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতরণ থেকে শুরু করে উত্তরপত্র সংগ্রহ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নির্ধারিত বিধি অনুসরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে চলমান জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা এবং ইবতেদায়ি পঞ্চম শ্রেণী ও দাখিল অষ্টম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অবশিষ্টপরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
ভিওডি বাংলা/ মোঃ রমজান আলী/ আ







