নেত্রকোণা-৩
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেলোয়ার হোসেন ভূইয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল

বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ‘ভোটের রাজা’ হিসেবে পরিচিত দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলাল আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া–আটপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তার এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলালের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। তিনি দুইবার কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে নগর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হন, যা তাকে স্থানীয় রাজনীতিতে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়।
রাজনৈতিকভাবে দেলোয়ার ভূইয়া দুলাল ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছিলেন।
এবার দলীয় পরিচয়ের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদের মতে, দেলোয়ার ভূইয়া দুলালের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও তৃণমূল পর্যায়ে শক্ত ভোটব্যাংক নেত্রকোণা-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
মনোনয়নপত্র দাখিলকালে তার সঙ্গে পৌরশহরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সাধারণ ভোটার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের বাহিরে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মনোনয়ন দাখিল শেষে দেলোয়ার ভূইয়া দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি আজীবন মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। দল নয়, আমার শক্তি হলো জনগণ। কেন্দুয়া- আটপাড়ার মানুষের উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও অধিকার নিশ্চিত করতেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে এসেছি।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নেত্রকোণা-৩ আসনে এবার একাধিক শক্ত প্রার্থীর উপস্থিতিতে নির্বাচন যে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। দেলোয়ার ভূইয়া দুলালের স্বতন্ত্র প্রার্থিতা এই নির্বাচনী মাঠে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
ভিওডি বাংলা/ মো: হুমায়ুন কবির/ আ







