দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়
খালেদা জিয়ার জানাজায় ব্যাগ নেওয়া যাবে না

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে গেলে কোনো ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী সঙ্গে নেওয়া যাবে না। জানাজা ও দাফনের সময়সূচি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বার্তায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, বুধবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবন মাঠ ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিএনপি চেয়ারপারন খালেদা জিয়ার জানাজা হবে।
এরপর আনুমানিক বেলা সাড়ে ৩টায় শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। জানাজার সময় কোনো ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন করা যাবে না। দাফনের কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে হবে বলে সেখানে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার থাকবে না।
এদিকে খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন ও আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় নিয়ে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
খালেদা জিয়ার জানাজার প্রস্তুতির বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, পুলিশের তরফ থেকে, সিকিউরিটি এজেন্সির তরফ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে আবার নতুন করে রিভিউ করা হয়। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং সিকিউরিটি এজেন্সিগুলোর নিজেদের মধ্যেই কিছু প্রস্তুতি অলরেডি ছিল, এখন আরও বড় আকারে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
তিনি বলেন, এই পুরো বিষয়গুলো ওনাদের (বিএনপি) সঙ্গে আমাদের পুরো কো-অর্ডিনেশন হচ্ছে। কো-অর্ডিনেশনের জন্য কমিউনিকেশন মেইনটেইন করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান আমরা সুন্দরভাবে সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং এই বিষয়ে পার্টির তরফ থেকে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে। আমরাও তাদের বলেছি আপনাদের যে ধরনের সহযোগিতা লাগে সেটা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে।
সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কি না- জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, না, এইজন্যই সর্বোচ্চ সিকিউরিটি কালকে এনশিওর করা হবে। আমাদের ডিএমপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, ডিএমপি প্রধান বলেছেন যে দশ হাজারেরও বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্যান্য যারা সিকিউরিটি এজেন্সির অফিসার আছেন, তারা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীরও তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনায় থাকবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ




