থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজারে ৭ দফা বিধি-নিষেধ

থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। শহরের প্রবেশপথ, মহাসড়ক, পর্যটন এলাকা ও আবাসিক জোনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রোবায়েত হোসেন বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে, যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে কোনো নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর সামগ্রী বহন করতে না পারে। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়া প্রতিটি গাড়ি নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে বাস টার্মিনাল ও পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. নাছির উদ্দিন বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে। সড়ক পথে আগত পর্যটক ও সাধারণ মানুষ যাতে স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারে, সে লক্ষ্যে মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সৈকত, হোটেল জোন, পর্যটন স্পট ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে দ্রুত নিকটস্থ পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৭ দফা বিধি-নিষেধ আরোপ করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস। বার্তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবাইকে এসব বিধি-নিষেধ অনুসরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আরোপিত বিধি-নিষেধগুলো :
১. কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকত এলাকায় আতশবাজি, পটকা ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ। দুর্ঘটনা এড়াতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি/বিপণনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
২. উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় প্রকাশ্যে কোনো কনসার্ট, নাচ-গানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।
৩. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো, প্রতিযোগিতা, জয় রাইড এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ।
৬. আগত নারী পর্যটকদের কোনো ধরনের ইভটিজিং বা উত্ত্যক্ত করা যাবে না।
৭. আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হোটেল ও মোটেলগুলোতে ইনডোর অনুষ্ঠানের তথ্য এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিষয়ে ডিএসবিকে অবহিত করতে হবে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







