‘বহিষ্কারের দরকার ছিল না’—ফেসবুকে হাসান মামুন

পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি জোটের প্রার্থী নুরুল হক নুরের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। বহিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাসান মামুনকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবসহ আরও আটজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের পর হাসান মামুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এর কিছুক্ষণ পর আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৩ আসনটি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসা হাসান মামুনও সোমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না কেন্দ্রীয় বিএনপি। শুধু নির্বাচন নয়, যেকোনো ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।’
ভিওডি বাংলা/ আরিফ






