লাখো মানুষের উপস্থিতিতে খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক তার জানাজা নামাজ পড়ান।
প্রাথমিকভাবে জানাজা বেলা ২টায় হওয়ার কথা থাকলেও তা বিকেল ৩টার পর অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, খামার বাড়ি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ ও মোহাম্মদপুর পর্যন্ত জনস্রোত লক্ষ্য করা যায়। মানুষেরা যেখানে পারেন সেখানেই দাঁড়িয়ে জানাজায় অংশ নেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে আসা হয়। তাকে বহন করা হয় লাল-সবুজ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো ফ্রিজার ভ্যানে। সেনাবাহিনী হিউম্যান চেইন তৈরি করে রাষ্ট্রীয় প্রোটকলে মরদেহ পৌঁছে দেয়।

সকালে ৮টা ৫৪ মিনিটে মরদেহ রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে নেওয়া হয়। প্রথমে তার বাসভবন ফিরোজায় নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরে গাড়িটি তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউস্থ বাসায় পৌঁছে। সেখানে স্বজন ও নেতাকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মরদেহ বহনকারী ভ্যানটি জানাজার জন্য যাত্রা শুরু করে।

বেগম খালেদা জিয়া চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে। ভারতের, পাকিস্তানের ও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি জানাজায় উপস্থিত থাকেন।
মঙ্গলবার ভোর ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক (৩১ ডিসেম্বর–২ জানুয়ারি) ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া জানাজা উপলক্ষে বুধবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি রয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা




