• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জিয়া উদ্যানে খালেদা জিয়ার মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৭ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার নামাজ শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া উদ্যানে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার পর বিশেষ নিরাপত্তায় সেখানে তার মরদেহ পৌঁছায়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে খালেদা জিয়াকে দাফন করা হবে।

এর আগে, বিকেল তিনটায় সংসদ ভবনের মাঠ ও সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশ-বিদেশের গন্যমান্য ব্যক্তিসহ লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়।

এদিকে, দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিরা ছাড়া আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত রাখা হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন খালেদা জিয়া, কারাভোগ করেছেন। চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হয়নি। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম জিয়া। এরপর করোনার কারণে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিলেও গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় বন্দি রাখা হয়। 

আওয়ামী লীগের শাসনামলে চিকিৎসা না পাওয়ায় ধীরে ধীরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় খালেদা জিয়ার।

এরমধ্যে ২০২৪ সালের জুলাইতে কোটা সংস্কার আন্দোলন দাবিতে দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন, যা শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের আন্দোলনে গড়ায়। টানা ৩৫ দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে পর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। তার স্বাস্থ্যের অনেকটা উন্নতি হয়েছিল। তবে নানা রোগে জটিলতা ও শরীর–মনে ধকল সহ্য করে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। বয়সও ছিল প্রতিকূল। প্রায়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হতো। 

সবশেষে গত ২৩ নভেম্বর তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক মাসের কিছু বেশি সময় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুবরণ করেন।

 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুললেন আজহারী ও মামুনুল
খালেদা জিয়ার কফিন কাঁধে তুললেন আজহারী ও মামুনুল
খালেদা জিয়া রেখে গেছেন ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস: তারেক রহমান
খালেদা জিয়া রেখে গেছেন ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস: তারেক রহমান
মা কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন: তারেক রহমান
মা কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন: তারেক রহমান