ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা
অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে আমি কামনা করি দেশ-বিদেশের সকলের অনাবিল আনন্দ, শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি। শুভ নববর্ষ। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত হয় নববর্ষ্রে নতুন বার্তা। নতুন বছরের আগমন পুরনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন আশা, আনন্দ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ১লা জানুয়ারী নববর্ষ একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে উৎসবের পরিসর বিস্তৃত হয়েছে ইংরেজী নববর্ষের মাধ্যমে। এটি বিশ্বজুড়ে নানাভাবে পালিত হয়। নববর্ষ শুধু একটি উৎসব নয়, এটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনার প্রতিচ্ছবি। নতুন বছরে আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে। আমরা এমন একটি জাতি নির্মাণের প্রত্যাশা করছি, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকই গুরুত্বপূণ এবং প্রত্যেকের কন্ঠ স্বাধীন থাকবে।
তিনি বলেন, গত বছরটি এখনও আমাদের মনে জাগ্রত। অর্জন, সাফল্যের পাশাপাশি বেশকিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা ও প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণা একদিকে যেমন আমাদের উচ্ছসিত করবে, অন্যদিকে আবার বেদনার্ত করবে। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে-একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাসহ সার্বিকভাবে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে একযোগে কাজ করা। গণবিরোধী পরাজিত শক্তি এতদিন জনগণের সকল অধিকারকে বন্দী করে রেখেছিল। এখন আবারও সকল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নববর্ষ সবার জীবনে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা ও নতুন সম্ভাবনা। অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। চিরদিনের জন্য দুর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন, নির্যাতন। বিশ্ব পরিমন্ডলে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য হয়ে মিশে আছে ইংরেজি নববর্ষ। তাই তো নতুন বছরকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী চলে বর্ণাঢ্য উৎসব। এই উৎসবের দিনে আমি আবারও দেশবাসীকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি-সামাজিক, রাজনৈতিক পরিসরে সকল বাধা অতিক্রম করে সংগ্রামমূখর জীবনের ঐতিহ্যের পথ ধরে এ জাতিকে অগ্রসর করতে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। নববর্ষে আমাদের উচ্চারণ হোক-‘ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, আসুন-ভালবাসা, পরমতসহিষ্ণুতা, শান্তি ও সৌহার্দ্যরে সমাজ গড়ে তুলি।’ নির্মাণ করতে হবে মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
ভিওডি বাংলা/ এমএম



