• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষার্থীদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক

   ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৩ পি.এম.

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সব শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাত বরণকারী শহিদ অফিসারদের স্মরণে এক বিশেষ অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিদেশি শক্তি প্রতিবেশী রাষ্ট্র অবশ্যই জড়িত। এর সঙ্গে এর ব্যর্থতা ও গ্লানি বহন করতে হবে তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশের মিডিয়া মাঝে মধ্যে ইরেস্পন্সিবল কথাবার্তা বলে। যেটি আমরা ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারিতে দেখেছি। একজন মহিলা সাংবাদিক নানা ধরনের কল্পকাহিনি প্রচার করছিলেন বিডিআর অফিসারদের অপবাদ দিয়ে। মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বলতে চাই সেনাবাহিনীর আইনে আছে কোথাও যদি একটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয় এই বিদ্রোহের কথা যে শুনে এবং দেখে সে যদি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা না করে এই বিদ্রোহ থামাতে তাহলে সেও এই বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত হবে। ওইখানে বিডিআর যারা ছিল তারা যদি বিদ্রোহ থামাতে উদ্যোগ না নিয়ে থাকে তাহলে তারাও অভিযুক্ত। সুতরাং সামরিক বাহিনী ও বিডিআর এর আইন সম্পর্কে জেনে শুনে আপনার রিপোর্ট করবেন বিনতিভাবে এই কথাটা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন,  দুঃখ লাগে সেনা প্রধান মঈন উদ্দিন আহমেদ তার কমরেডদের বাঁচানোর চেষ্টা না করে তিনি অনির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বসে রয়েছেন। তাকে কে বলেছিল প্রধানমন্ত্রী কাছে যেতে। তা তো উচিত ছিল তার কমরেডদের বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। আর যেসব অফিসাররা পিলখানার গেটের বাহিরে সমবেত হয়েছিলেন, নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন যে তার কমান্ডিং অফিসার তাকে বলবে বিদ্রোহ দমন করতে। এই নির্দেশের তো কোনো প্রয়োজন ছিল না। তার মানে বুঝা যাচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে প্রশিক্ষণের অনেক ঘাটতি রয়েছে। কেন সেনাবাহিনী সেই দিন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারল না। এই দুঃখটি নিশ্চয়ই প্রত্যেকটি শহীদ পরিবারের মনে চিরকাল গেঁথে থাকবে।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা এত বছর ধরে চেষ্টা করেছি এই দিনটিকে যেন শহীদ সেনা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অবশেষে সেই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। সেজন্য আমি বর্তমান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে বাংলাদেশের জন্য সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করে আছে। অনেক সুন্দর একটা বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের অনেক কিছু করার আছে। তবুও ধন্যবাদ জানাই জুলাই আগস্ট এর শেষ দিকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং মিছিল করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা যারা সোলজার আছি যতই বয়স হোক প্রয়োজনে আমরা দেশের জন্য জীবন দেব। আমার দল যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় প্রত্যেকটি ছাত্রকে আমরা কম্বলসারি মিলিটারি ট্রেনিং দেব। জুলাই আগস্টে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে এতে সারা বিশ্বে আমাদের সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তরিক অভিযান জানাই সেসব ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের যারা রাজপথে এসে স্বৈরশাসক কে বিদায় জানিয়েছে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভোটারদের যে পরামর্শ দিলেন সারজিস
ভোটারদের যে পরামর্শ দিলেন সারজিস
বহিষ্কার হলেন ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতা
বহিষ্কার হলেন ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতা
খালেদা জিয়াকে ফল পাঠালেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত
খালেদা জিয়াকে ফল পাঠালেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত