বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে বিএনপির বর্ধিত সভা। সারা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের মাঝে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। সারা দেশ থেকে আসা প্রায় চার হাজার প্রতিনিধি এতে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল ও মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সভা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনই জাতির প্রত্যাশা-এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে এ সভার প্রধান এজেন্ডায় রয়েছে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা। তৃণমূলের নেতাদের দেওয়া মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হবে দলের কর্মপরিকল্পনা।
সভায় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, ঐক্য ও শৃঙ্খলা ধরে রাখাসহ নানা দিকনির্দেশনা দেবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যা মাঠে বাস্তবায়ন করবে তৃণমূলের নেতারা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, বিগত আন্দোলনের মূল্যায়নের পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত দলের কর্মপরিকল্পনা কী হবে সে বিষয়ে মতামত নিতেই এই সভা ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান, জনপ্রিয়তা এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ কেমন, সেই চিত্র উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতারা আরও জানান, আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। তৃণমূলের বক্তব্যে অনেক প্রার্থীর বিষয়ে একটি ‘মূল্যায়ন চিত্র’ পাওয়া যাবে। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি থেকে সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, সারা দেশে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থা নিরসন এবং সংসদ নির্বাচনমুখী বিএনপির পথচলা কেমন হতে পারে, তার একটি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের সময় নিয়ে সরকার বা অন্য কোনো পক্ষ বাড়াবাড়িতে গেলে দলটি মাঠের কর্মসূচি জোরদার করবে। সেক্ষেত্রে এপ্রিল মাসে কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায়ে আরও কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে সংস্কারের নামে ভোটের তারিখ পেছানোর চেষ্টা মেনে নেবে না তারা। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে তৃণমূলের ভাবনাও চাওয়া হবে আজকের সভায়।
বর্ধিত সভার বিষয়ে গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়, সভার মূলবিন্দুতে থাকবে তৃণমূল নেতারা। তাদের কথা শুনেই নির্ধারিত হবে বিএনপির আগামীর পথচলা। এতে বক্তব্য দেবেন জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা ও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবরা। কেন্দ্রীয় কোনো নেতা বক্তব্যের তালিকায় থাকবেন না। এতে বিগত আন্দোলনের একটি চিত্র তুলে ধরা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরবেন। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের ত্যাগ ও সফল নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হবে। যেহেতু দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছে ভোটাধিকারের জন্য তাই বিএনপি বার্তা দেবে যে স্থানীয় নয়, জাতীয় নির্বাচনই জাতির প্রত্যাশা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এই প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে ‘বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন মিডিয়া উপকমিটি’। সভা উপলক্ষ্যে আমরা বিএনপি পরিবার ‘আস্থা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে। সকালে তারেক রহমানের বক্তব্যের পর দুপুরের পর শুরু হবে রুদ্ধদ্বার অধিবেশন, যেখানে তৃণমূলের নেতারা বক্তব্য দেবেন। পরে সমাপনীতে তারেক রহমান নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেবেন। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির এ বর্ধিত সভাকে ‘খুবই সময়োপযোগী’ বলে মনে করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলের প্রাণ। স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিসহ সামগ্রিক বিষয় তারা গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেন। তাদের কাছ থেকে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের চাওয়াটা জানা যায়। ফলে বর্ধিত সভা থেকে সারা দেশে দলের সাংগঠনিক অবস্থা ও জনগণের প্রত্যাশার বস্তুনিষ্ঠ চিত্র উঠে আসবে, যা দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বর্ধিত সভা থেকে কী বার্তা আসতে পারে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যেসব নেতাকে বর্ধিত সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বার্তা আসবে, তারা কী চান। অনেকদিন ধরে আমাদের এত বড় আন্দোলন গেল, আরও নানা বিষয় আছে কী ধরনের প্রস্তাবলি গ্রহণ করা যায় তাদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেটা আসবে।
ভিওডি বাংলা/এম
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
