নির্বাচনমুখী বিএনপির নেতারা


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে-এমনটি ধরেই নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করছে বিএনপি। মাঠে নেমেছেন দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। রাজধানীসহ সারা দেশে দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যহত রেখেছেন। দলীয় শৃঙ্খলা মেনে কে কার চেয়ে বেশি সাংগঠনিক তৎপরতা চালাবেন-তা নিয়ে চলছে রীতিমতো প্রতিযোগিতা। রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নিচ্ছেন নির্বাচনি প্রস্তুতিও। নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সঙ্গে ইফতার মাহফিল ও উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত হয়ে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার আভাসও দিচ্ছেন কেউ কেউ। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন এলে সবাই তো মনোনয়ন চাইতে পারেন। যারা যেখানে কাজ করছেন তারা সেখান থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এটা রাজনীতির একটা অংশ। তবে মনোনয়নের বিষয়ে আলোচনার সময় এখনো আসেনি। নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হলে বিষয়টি সামনে আসবে।
মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়নি। দেশ এখন স্বৈরাচার মুক্ত। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। সেই সুযোগে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। জনগণের আস্থা অর্জনে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা রয়েছে। দল থেকে ‘ক্লিন ইমেজ’ ও জনবান্ধব নেতাদের মনোনয়নের আভাস দেওয়া হয়েছে। জনগণও ক্লিন ইমেজ ও জনবান্ধব নেতারা মনোনয়ন পাবেন-এমনটা প্রত্যাশা করেন। এজন্য আগেভাগেই দলীয় নেতারা নির্বাচনি মাঠে তাদের কর্মপরিকল্পনার ‘ছক’ কষছেন। রমজানে বড় কোনো কর্মসূচি না থাকায় ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে কার্যত নির্বাচনি কার্যক্রম চলছে। অনেকই আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের সুখ-দুঃখের খবর নিচ্ছেন। মসজিদে মসজিদে নামাজ আদায়সহ মুসল্লিদের ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা করছেন। এর মধ্যদিয়েই নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা।
জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে বর্ধিত সভা করে বিএনপি। ওই সভায় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য শোনেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বক্তব্য ও দলীয় কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন হাইকমান্ড। সেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুকেও গুরুত্ব দেন তিনি। বিএনপির জন্য কেমন হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আগামীর পরিস্থিতি-সে প্রেক্ষাপটে নেতাদের নানা বিষয়ে সর্তক বার্তা দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার বক্তব্যে আগামী নির্বাচনে কারা, কোন কোন যোগ্যতায় বিএনপির মনোনয়ন কারা পাবেন-তা একরকম স্পষ্ট বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তারেক রহমানের দেওয়া নির্দেশনা ও দলীয় শৃঙ্খলা ইস্যুটি মাথায় রেখেই মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
