‘আমরা চাই জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সরকার নির্বাচিত করুক’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটা রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা জানেন ইদানিংকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়েছে। পরপর বেশকয়েকটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমাদের নারী সমাজ অর্থ্যাৎ নারী ও শিশুদের ওপর কয়েকটি অত্যাচার নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যমে এসব কিছু উঠে এসেছে।

সোমবার ১০ মার্চ মাহে রমজান উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইশরাক হোসেন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দেখতে পেয়েছি যে একটা মব কালচার; নতুন শব্দ আমরা শুনতে পাচ্ছি। যেখানে একটি বিশেষ গোষ্ঠি আইন শৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তারা মনে করছে যে, এটা তারা করতে পারে; সেই অধিকার তাদের রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অবনতি পাশাপাশি সামাজিক অপরাধগুলো বেড়েছে। সিলেট চট্টগ্রাম কুমিল্লা ও মাগুরায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একজন সচেতন নাগরিক এবং এই শহরে আপনাদের একজন সন্তান হিসেবে যখন এসব ঘটনা দেখি তা বুকের রক্তকরণ ঘটায়।

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, অতীতে যেভাবে আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি দলের নির্দেশনায়; সেই বিষয়গুলো আমরা কিভাবে করতে পারি। বিশেষ করে নারীরা যাতে তাদের দুর্বল অনুভব না করে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তারা যাতে মনে না করে যে তারা অনিরাপদ ও নিরাপত্তার ঝুকি রয়েছে এটা নিশ্চিত করতে হবে। যারাই নারীদের ওপর আঘাত করতে চাইবে তাদেরকে আমরা কঠোরভাবে দমন করবো। প্রয়োজনে তাদেরকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিব।

তিনি বলেন, আমরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হঠিয়েছি। এখন যারা ছোট ছোট গ্রুফ তৈরি হয়েছে অথবা সামাজিকভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে চাচ্ছে; এমনকি চুরি ছিনতাই ডাকাতির মনোভাব করছে সেক্ষেত্রে আমাদের দলীয় পরিচয় দিয়ে যদি হয় তাহলে তাদেরকে সবার আগে ধরতে হবে।সবার আগে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেবে না। আমার কাছের লোক কিংবা কোনোদিন আমিও যদি এসব অপকর্মে লিপ্ত হই তাহলে আমাকেও ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। বাংলাদেশে কোনো ধরণের অরাজকতা আমরা বরদাসত করবো না।

ইশরাক বলেন, বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার আপাতত দায়িত্ব পালন করছে। একটি সুষ্ঠু সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে কিভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়।কারণ আমরা মনে করি একটা রাজনৈতিক সরকারই পারে যেকোনো সমস্যা কঠোর হস্তে দমন করতে, এবং সেগুলোকে বাস্তবায়ন করতে। তাই আমার স্পষ্ট কথা অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নূন্যতম যে সংস্কার রয়েছে তা শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। যাতে গত জুলাই আগস্টে গণহত্যা চালিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে নির্বাচিত সরকার। আমরা বলছি না বিএনপিকে ক্ষমতা দেন আমরা কালকে চেয়ারে বসে পড়ি; আমরা চাই জনগণ ভোট দিয়ে তাদের সরকার নির্বাচিত করুক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মকবুল ইসলাম খান টিপু, আব্দুল কাদির, অপু ঢালী, মামুনুর রশিদ, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, মসলে উদ্দিন মুসা, মোঃ হাকিম, মোঃ মোড়ল, মোঃ ফারুক, মোঃ টিটুম মোহাম্মদ মাহিন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও নেতৃবৃন্দ।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ