কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরির চেষ্টা করছে : মির্জা আব্বাস


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
আমাদের মাঝে কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত স্কাইভিউ হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যদি ইফতারের একটি টেবিলে একসঙ্গে মজা করি, এনজয় করি। তাহলে একসঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে সমস্যা কী? আমাদের মাঝে কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করছে। হিংসা নিয়ে একসাথে এগিয়ে যাওয়া যায় না। তাই আগামী নির্বাচনে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।
বিএনপিকে খাটো ও অবজ্ঞা করে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
তিনি বলেন, যারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে দলের অর্জন ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন, তাদের ছাড় নেই।
চাঁদাবাজ নেতাকর্মীরা ছবি তোলায় ব্যস্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অথচ এরা (চাঁদাবাজ নেতাকর্মীরা) আন্দোলনে ছিল না। তাই যারা এতদিন কষ্ট করেছে তাদের কষ্টের ফল যেন ধুলোয় না মেশে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কিছু দল-গোষ্ঠী সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে নেমেছে। বিএনপিকে আওয়ামী লীগের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
এ সময় মাগুরার সেই শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে সবার সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিএনপিও মাঠে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংস্কার আলোচনা চলতে থাকবে। কিন্তু আমাদের সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেজন্য আমরা রোডম্যাপ চাই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী খুব শিগগিরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিষ্কার রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইলেকশন কমিশনের রেসপনসিবিলিটি। তারাও কাজ প্রায় গুছিয়ে আনছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরকে সামনে রেখে তারা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এখন কিছু কিছু বিষয়ে বিতর্ক হচ্ছে যে, কোন নির্বাচন আগে, কোন নির্বাচন হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তাবনা ও মতামত সরকারের কাছে, প্রধান উপদেষ্টার কাছে ও জনগণের কাছে উত্থাপিত করেছি।
দেশের সব মানুষ সমর্থন দিয়ে আন্দোলন করেছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারাও আকাঙক্ষা ধারণ করে। দেশের মানুষের অধিকার ও স্বাধিকার আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছেন।
এসময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার কোরআন এবং হাদিস নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন।
১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, স্বৈরাচার পতন পর এই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। তারাও এখন সন্তোষজনক নয়। তাই বলছি, যতটুকু সংস্কার হয়েছে তা শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দেন।
ইফতার মাহফিলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
