দল হিসেবে আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে- সাকি


রংপুর প্রতিনিধি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। রোববার রংপুর নগরীর রূপকথা কমিউনিটি অ্যান্ড কনফারেন্স হলে গণসংহতি আন্দোলন রংপুর মহানগর ও জেলা শাখা আয়োজিত ইফতার ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাকি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজেই হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাসহ যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে নানা ধরনের অস্থিতিশীলতার চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীসহ অনেককেই নানাভাবে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ধরনের অস্থিতিশীলতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। সেই কারণে আমরা সব রাজনৈতিক পক্ষ, সব বক্তি এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাব, আমাদের সবার এমন ভূমিকা নেওয়া উচিত যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। যাতে এ দেশের মানুষের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করতে পারি। অস্থিতিশীলতা আমাদের কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’
তিনি বলেন, ‘যারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করছেন, তারা যেন দায়িত্বশীল আচরণ করেন, সেভাবে আমরা আহ্বান জানাব। নানাভাবে ষড়যন্ত্র চলছে, তৌহিদি জনতার নামে মব আক্রমণ চলছে, বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর হচ্ছে, নারীর ওপর চলছে, বিভিন্ন মাজারে হামলা চলছে, ধর্মীয় কিংবা সংখ্যালঘু তাদের ওপরও হামলা চলছে।’
সাকি বলেন, ‘এই রকম কাজ বাংলাদেশকে ওই ভারতীয় মিডিয়া, ভারতের শাসক দল, যেভাবে সারা দুনিয়ায় হাজির করতে চায় সেই চেষ্টাকে সাহায্য করবে। আপনারা দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে কী ধরনের মন্তব্য করেছেন, এই সব মন্তব্য নানাভাবে তৈরি করা হচ্ছে। নানাভাবে যে প্রচারণা চলছে তারই ফল।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৯০-এ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটলেও, মানুষ গণতন্ত্রের আশা করলেও আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক কোনো পরিবর্তনের লক্ষ্যে কর্মসূচি যথার্থভাবে হাজির না থাকায় একই রাষ্ট্র কাঠামোর ওপরে ৯০-এর পরবর্তী সরকার এসে আবারও মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণের ক্ষমতা খর্ব করেছে। স্বৈরশাসন আবার জেগে বসেছে, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা এসেছে, সেখানে কোনোভাবে নির্বাচন হলেও স্বৈরশাসনের কোনো অবসান ঘটেনি। বরং নির্বাচিত স্বৈরশাসন আমরা দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা নিজেদের দাবি করা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তুলে দিয়ে, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে পকেটে ভরে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ তিন তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করে, রাতের রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে ১৫৩ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে কিংবা নিজেদের দল থেকে ডামি প্রার্থী নির্বাচন করে মানুষের সঙ্গে প্রহসন করেছে।’
এ সময় রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বয়ক সামছুজ্জামান সামু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
