৫৩ বছর পরও
এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি- তারেক রহমান


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রাম মূখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জ্বল মূহুর্তে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তা হলো এদেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহিদের আত্মদান। আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে নয় মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি। সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব মা-বোনদের, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।’
তারেক রহমান বলেন, ‘২৬ মার্চ দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তার ঐতিহাসিক ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও তাই এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি।’
তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি
এ মাসেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা সম্ভব : আখতার হোসেন
রাজনৈতিক দলগুলো দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে একমত হলে এ …

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধারণ করতে হবে- জাগপা
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য মো: হাসমত উল্লাহ বলেছেন, হিন্দুস্তানের …

শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্রায়ণের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে না : আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘অর্থনীতিতে …
