• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান ঈদের দিনেও আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা: বিবিসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

   ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৭ পি.এম.
ফাইল ছবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদেশের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবস সবচাইতে গৌরবময় ও পবিত্রতম দিন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রক্তস্নাত স্বাধীনতা বিশ্বের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জল দিন। কোন জাতিকেই জন্মভূমির জন্য এমনভাবে আত্মত্যাগ করতে হয়। তবে ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল-তা আজও পূরণ হয়নি।

মঙ্গলবার ২৫ মার্চ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বাণী দেন। বাণীতে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের এ দিনে বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক স্বৈরশাসনের গ্লানি থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিল। লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তরাঙ্গানো আমাদের স্বাধীনতা। আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে-যাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি মরণপন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশী চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পরাজিত ফ্যাসিবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করেছিল। দেশে অনিয়ম, অবিচার, অরাজকতা, আতঙ্ক ও ভয় ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছিল চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছিল। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। নজীরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম ও গত বছরের জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ। এখন আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি-দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য একযোগে কাজ করার। আমরা সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়পরতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে একটি জনকল্যাণমূলক উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে এগিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আজও বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শোষিত ও নিপীড়িত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আমি আহ্বান জানাই।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান