নেতাকর্মীদের রাজকীয় বরণ
৩৩ মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত জাকির খান


নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান রাজ্যে আগমন ঘটেছে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আলোচিত জাকির খানের। ৩৩ মামলায় ধাপে ধাপে জামিন পেয়েছেন। কারামুক্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন জাকির খান।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর তিনি নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। এরপর বিশাল রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়ে নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করে নেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান দীর্ঘ দুই যুগ পর মুক্ত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ শহরে পা রাখলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আতঙ্ক ছিল জাকির খান।
একথা অকপটে শামীম ওসমান নিজেই বলে গেছেন। যার ফলে শামীম ওসমানের পুরো ক্ষমতা থাকাকালে জাকির খানকে বেছে নিতে হয়েছে ফেরারি জীবন।
এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর একটি অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার হন জাকির খান। ২০০৪ সাল থেকেই বিদেশে আত্মগোপনে ছিলেন জাকির খান।
২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির অদূরে সাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিট পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি সাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোটভাই।
নব্বইয়ের দশকে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে আসা জাকির হোসেন ওরফে জাকির খান একসময় শহরের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হন। সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার পর আসামি হিসেবে নাম এলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
সাব্বির হত্যা মামলার পর জাকির থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। পলাতক থাকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় আদালত সাজা প্রদান করে। এরপর থেকে তিনি আর দেশে ফেরেননি। এক বছর আগে ভারত হয়ে দেশে ফিরে আসেন।নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পেছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে শহরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন জাকির খান।
জাকির খানের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন বিশেষ আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে তার সাজা কমে আট বছর হলেও তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দেশে ও বিদেশে প্রায় দুই দশক পলাতক ছিলেন।
জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের হাত ধরে জাকির জাতীয় ছাত্র সমাজে যোগ দেন। ওই নেতার সঙ্গে বিরোধের জেরে ১৯৯৪ সালে তিনি ছাত্রদলে যোগ দেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর জাকির জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হন। তখন শহরের ডিআইটিতে তাকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক দফা জেলও খাটেন তিনি। দেশে না থাকলেও অনুসারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল জাকির খানের।
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে শহরের পরিবহন, ঝুটসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাকির খানের অনুসারীদের দখল ও আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। গত ২২ সেপ্টেম্বর একটি পরিবহন দখলকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জাকির খানের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপির আরেকটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
ভিওডি বাংলা/এম
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহত
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ভ্যান চালক নিহত …

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ৯৬৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ …

কোরবানির মাংস বিতরণ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২
বাগেরহাট প্রতিনিধি
কোরবানির মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে …
