• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান ঈদের দিনেও আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা: বিবিসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের

ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট দিতে জনগণ উদগ্রীব: আমীর খসরু

   ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৫ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
দেশের জনগণ ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সন অফিসে, বাংলাদেশ জনঅধিকার পার্টি ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সাথে বিএনপির লিয়াঁজো কমিটি বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘সংস্কারের যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য হয়েছে, সেটা জাতির সামনে প্রকাশ করলেই তো হয়ে যায়। প্রকাশ করে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করলে অসুবিধাটা কোথায়? প্রত্যেকটি দল তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে। কাজেই কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, তা জাতিকে জানিয়ে দিয়ে সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাই—পরিষ্কার কথা।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জন–অধিকার পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুও অংশ নেন।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সবাই উদ্‌গ্রীব হয়ে আছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেছেন, ‘কারা গণতন্ত্র চায় আর কারা চায় না—এ বিষয়গুলো জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিই আমরা। জনগণ তো বোকা না। তারা তো সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে।’

ডিসেম্বরে ভোট না হলে বিএনপি কী করবে, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘কোনো কারণে চিন্তা করে লাভ নাই। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সবাই উদ্‌গ্রীব। জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ভোটের জন্যই তো নির্বাচন হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা তো এটাই মনে করবে। ভোট হবে, নির্বাচিত হয়ে নির্বাচিত সদস্যরাই সংসদে যাবে। এটাই তো গণতন্ত্র। এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কোনো কারণ তো নাই।’

সরকারের সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকারের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। এটা জনগণের মালিকানার বিষয়। সংস্কার হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনের পরেও আরও অনেক সংস্কার হতে থাকবে। তারপরেও সংস্কারের যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য হয়েছে, সেটা জাতির সামনে প্রকাশ করলেই তো হয়ে যায়। প্রকাশ করে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করলে অসুবিধাটা কোথায়? প্রত্যেকটি দল তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে। কাজেই কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, তা জাতিকে জানিয়ে দিয়ে সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাই—পরিষ্কার কথা।’

এ সময় জন–অধিকার পার্টির সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট বলেন, আজকের আলোচনায় দুটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। একটি সংস্কার আরেকটি নির্বাচন। বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে এই মুহূর্তে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার দরকার। এ জন্য একটি নির্বাচন দরকার। গত আট মাসে সরকার অনেক সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন খুব দরকার। এই মুহূর্তে গণতান্ত্রিক সরকার খুব করে দরকার। সরকার আন্তরিক হলে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলতে থাকবে। সংস্কার করতে গিয়ে তো আমরা গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরতে পারি না। ফ্যাসিস্ট হটানোর পরেও ভোটের জন্য যদি বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে কবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটাই প্রশ্ন।’

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান