• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

শিল্পনগরী খুলনা আজ ‘মৃত’

   ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৪ পি.এম.

খুলনা প্রতিনিধি
এক সময়ের ব্যস্ত শিল্পনগরী খুলনা, আজ ‘মৃত শিল্পনগরী’। কালের পরিক্রমায় একে একে  বন্ধ হয়ে গেছে এর রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি পাটকল এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন চারটি পাটকল। সে তুলনায় নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। বেকার হয়েছে অসংখ্য শ্রমিক। 

শিল্পনগরী খুলনায় স্বাধীনতা পূর্ব সময় থেকেই গড়ে ওঠে শিল্পকারখানা। আশির দশকেও হাজারো মানুষের কর্মচাঞ্চল্যে মুখর থাকত শিল্পএলাকাগুলো। 

লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের দোসরা জুলাই রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি পাটকল বন্ধ করে দেয় বিজেএমসি। এ সময় ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর ও দৌলতপুর, আলীম ও ইস্টার্ন এবং স্টার জুট মিলের প্রায় ২৬ হাজার স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক চাকরি হারান। খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলটিও একই কারনে ২০০২ সালের ৩০শে নভেম্বর বন্ধ ঘোষণা হলে চাকরি হারায় ৩ হাজার শ্রমিক। ১৯৬৫ সালে স্থাপিত খুলনা হার্ডবোর্ড মিল বন্ধ হয় ২০১৩ সালের ২৬শে নভেম্বর। দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরিটি ২০১০ সালে বন্ধ হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া দুটি পাটকল গুটিকয়েক তাঁত চালু রেখে বিশাল পরিমাণের জমি ও ভবন দখলে রেখেছে। পাটকলের অনুমতি নিয়ে চলছে, অন্য শিল্প কারখানা।

শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ। অনেকে বিকল্প কর্মসংস্থানে কোনরকমে টিকে আছে পরিবার নিয়ে। 

ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করলেও চালু হয়নি বন্ধ কলকারখানা। রাষ্ট্রায়াত্ব এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর রয়েছে শিল্প পুলিশ।বন্ধ কলকারখানাগুলো আবারো চালু করতে উদ্যোগ নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নাগরপুরে ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
নাগরপুরে ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল
চালকের বুদ্ধিমত্তায় প্রাণ ও সিএনজি দুটোই রক্ষা পেল
চালকের বুদ্ধিমত্তায় প্রাণ ও সিএনজি দুটোই রক্ষা পেল
ভাঙ্গুড়ায় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ
ভাঙ্গুড়ায় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ