বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার হবে না কেন প্রশ্ন রিজভীর


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জনগণ নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান চায় মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডিসেম্বর টু জুন নয়, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার কেনো হবে না এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামি, মুক্তি কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, কিছু উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করছে। দুই উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীদের (পিএস) দুর্নীতির কাহিনী শুনলে শেখ হাসিনাও বিস্ময়ে তিনবার ডিগবাজি খেতে পারেন।
দুর্নীতি ও পাচারের টাকা দিয়ে দেশে অনবরত অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাও, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ছাত্রদের এপিএস’র নামে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ ভয়ঙ্কর।
মন্ত্রণালয়ে কেনো ছাত্রদের কমিটি থাকবে এমন প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, এতে ছাত্রদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সমাজের কিছু লোক আছে, যারা ছাত্রদের বিপথগামী করছে, প্রলোভন দেখাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ছাত্রদের কাজ মন্ত্রণালয়ে নয়, তাদের ঠিকানা ক্যাম্পাস।
ফ্যাসিবাদের বিচারকদেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘যারা ফ্যাসিজমকে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছেন, তাদের অন্যতম হচ্ছেন আদালতের বিচারক। বিচারপতি খায়রুল হক, বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আসাদুজ্জামান— এ রকম অসংখ্য নাম। এরা সবচেয়ে নির্দোষ যে নারী, জনগণের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে, শত নিপীড়ন–নির্যাতন ভোগ করে জনগণকে ছেড়ে যাননি, মাটিকে ছেড়ে যাননি, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন। সেই বিচারকেরা কেন শাস্তির আওতায় আসবেন না।’’
তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসাবেদর যারা বিচারক, তাদেরও বিচার হতে হবে। আমরা নুরেমবাগ ট্রায়ালে দেখেছি- হিটলারের আদালতের যারা বিচারক ছিলেন, কোনো ধরনের যুক্তির কথা না শুনে হিটলারের কথায় যারা লাখ লাখ কয়েদিকে পুড়িয়ে মারার রায় দিয়েছেন, বিচার করেছেন, তাদের কি বিচার হয়নি? তাদের যদি বিচার হতে পারে, তাহলে আজকে শেখ হাসিনার আমলের ফ্যাসিবাদকে যারা প্রলম্বিত করেছেন, তাদের কেন বিচার হবে না। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’’
রিজভী বলেন, ‘‘একটি দেশের জনসখ্যার চেয়ে বাংলাদেশে আসামির সংখ্যা বেশি। ডেনমার্কে ৫০ লাখ লোক বসবাস করেন। অথচ আমাদের দেশে বিএনপির ৬০ লাখের বেশি নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’’
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সাবেক ছাত্র নেতা আজিজুল বারী হেলাল, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
