• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

কৃষ্ণচূড়ার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য্য আগুন লেগেছে প্রকৃতিতে

   ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৬ পি.এম.

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

কাঠফাটা রৌদ্রের তীব্র তাবদাহ উপেক্ষা করেই বসন্তের রক্তিম রেশ ধরে রেখেছে গ্রীষ্মের চোখ ধাঁধানো লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে মনে হবে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে লালের অরণ্য। কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো গাঢ় লাল রঙের হয়। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়। প্রচণ্ড তাবদাহে যখন অস্থির জনজীবন, তখন কিছুটা চোখের প্রশান্তি দিচ্ছে প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য। যেন নীল আকাশকে ঢেকে দিতে চাইছে লাল কৃষ্ণচূড়া ।

কৃষ্ণচূড়ার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য্য যেন হার মানায় ঋতুরাজকেও। আর কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মকে দিয়েছে অন্য এক মাত্রা।

সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জে প্রকৃতিতেও যেন আগুন লেগেছে কৃষ্ণচূড়ার।গাছে গাছে রক্তিম আভা নিয়ে জেগে থাকা কৃষ্ণচূড়া দৃষ্টি কাড়ছে  ফুলপ্রেমি মানুষদের, যারা শত ব্যস্ততার মধ্যেও ফুলের জন্য অপেক্ষা করেন। আর কৃষ্ণচূড়ার জন্য প্রহর গোনেন।

কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন ফুল ও প্রকৃতিপ্রেমি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা ফুলপ্রেমি মানুষ, তাদের কাছে কৃষ্ণচূড়া একটি জনপ্রিয় ফুল। নানা বৈশিষ্ট্যে দৃষ্টিনন্দন এ ফুলের কদর রয়েছে সব মহলেই। ফুলটির রং এত তীব্র যে অনেক দূর থেকেই চোখে পড়ে।হঠাৎ দূর থেকে দেখলে মনে হবে, কৃষ্ণচুড়া গাছে যেন রঙের আগুন  লেগেছে।

স্বাধীনতার রূপক ও চেতনার অর্থে ফুলটিকে ব্যবহার করেছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক। শুধু কবি নয়, কিশোরগঞ্জে পথচারী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি পেশার ফুলপ্রেমিদের আনন্দ ও মন কেড়েছে গ্রীষ্মের রাজা কৃষ্ণচূড়া।

বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি উপজেলার কোথাও না কোথাও দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার। বিশেষ করে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ব্রিজের পাশে ও কালিবাড়ি চত্বর,ফুলটি সগর্বে জেগে রয়েছে।

গ্রীষ্মের শুরু থেকেই কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিতে নেমে আসতে শুরু করে,গ্রীষ্মের ফুলের কথা বলতেই সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষ্ণচূড়ার কথা । সাধারণত সুমিষ্ট রসাল ফলের জন্য গ্রীষ্মকাল এগিয়ে থাকলেও ফুলের দিক থেকে অন্যসব ঋতুর তুলনায় এগিয়ে রয়েছে গ্রীষ্মকাল তাই গ্রীষ্মকালকেই ফুল উৎসবের ঋতুও বলা চলে ।

এ মৌসুমে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের যে উম্মাদনা,ঐশ্বর্য তা এতই আবেদনময়ী যে চোখ ফেরানো অসম্ভব। কৃষ্ণচূড়ায় শুধু মানুষের নয়, পাখিদেরও যেন মন ভরে ওঠে। কৃষ্ণচূড়ার দাপটে অন্যসব ফুলের রং যেন ম্লান হয়ে পড়েছে। কিশোরগঞ্জে সৌন্দর্য বাড়াতে ফুলটি যেন বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।  কৃষ্ণচূড়ার তুলনা শুধু কৃষ্ণচূড়াই। রঙে, রূপে,  ও উজ্জ্বলতা কোনো  কিছুই যেন কৃষ্ণচূড়ার সমকক্ষ নয়। কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে একবারের জন্য হলেও দৃষ্টি আটকে যায় না কিংবা থমকে দাঁড়ায় না- এমনটা হতেই পারে না। এমনই তীব্র আকর্ষণ এই কৃষ্ণচূড়ার। চূড়ার মতোই উচ্চতায় অবস্থান করা এ বৃক্ষটির রূপ-লাবণ্য-কমনীয়তা আর সৌন্দর্যে ছোট-বড়, বৃদ্ধ-বণিতা সবার কাছেই পরিচিত।

কিশোরগঞ্জে সদরের রশিদাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ওমর সিদ্দিক রবিন একজন ফুলপ্রেমি মানুষ ভিওডি বাংলাকে জানান , যখন কৃষ্ণচূড়া ফৌটে তখন গাছ-গাছালি লাল-সবুজ রঙে যেন মুখর হয়ে উঠে। আর এ সময়টা আমার কাছে ভালো লাগে অন্যরকমভাবে। এ ভালো লাগার কথা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না।

জেলা সদরের কলাপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (নাঈম ) তিনিও একজন কৃষ্ণচূড়ার প্রেমিক তিনি ভিওডি বাংলাকে বলেন, প্রতিবছর নয়, প্রতিটি দিনই যেন অপেক্ষায় গ্রীষ্মের এই দিনগুলোর জন্য। কৃষ্ণচূড়ার রঙে প্রকৃতি যেন এক অপূর্ব সুন্দরে সাজে। প্রতিদিন এ দৃশ্য না দেখলে মনে হয় জীবনটাই বৃথা।

কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া সিদ্দিক ভিওডি বাংলাকে বলেন, গ্রীষ্মের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন হয়ে ওঠে প্রকৃতি। বাতাসে বাতাসে কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো দুলতে থাকে। এ এক অন্যরকম ভালো লাগা। যা ভাষায় প্রকাশ করে আমার পক্ষে বোঝানো সম্ভব নয়।

ভিওডি বাংলা/মোঃ ওমর সিদ্দিক রবিন/এম  

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বইমেলায় রুহুল আমিনের ‘মোহ কাঠের নৌকা’
বইমেলায় রুহুল আমিনের ‘মোহ কাঠের নৌকা’
তানজিল রিমনের নতুন বই “জাদুর বনে তিতিরের একদিন”
তানজিল রিমনের নতুন বই “জাদুর বনে তিতিরের একদিন”
পিছিয়ে নেই ডিজিটাল বইও
পিছিয়ে নেই ডিজিটাল বইও