• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান ঈদের দিনেও আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা: বিবিসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের

তারেক রহমান

‘করিডোরের বিষয়ে সংসদ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে’

   ১ মে ২০২৫, ০৫:৫৬ পি.এম.
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডোর দেয়ার বিষয়ে জনগণ বা রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছু জানায়নি। করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদের কাছ থেকে আসতে হবে। বিদেশীদের নয়, সরকারকে সবার আগে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয় শ্রমিকদলের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশে সংস্কার নিয়ে শোরগোল চলছে। কিন্তু সেই কর্মযজ্ঞে শ্রমজীবী মানুষের কন্ঠস্বর কোথায়? রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে জনগনের কথা পৌঁছাতে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রয়োজন। কারণ প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিতরা জনগণের কথা শুনতে বাধ্য। অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নির্বাচন ও সংস্কারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যে বিভেদ উসকে দিতে চায়। এ সময় সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখা যৌক্তিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার যাতে মাথাচাড়া দিতে না উঠতে পারে, সেজন্য জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। জনগণের ওপর একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষমতার সুপ্তবাসনা যেন স্বৈরাচারের পথে ঠেলে না দেয়।

তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে প্রায় আট কোটি মানুষই শ্রমজীবী। এই শ্রমিকরাই উন্নয়ন ও অর্থনীতির প্রাণ। কর্মজীবীদের অবহেলা বা অধিকার বঞ্চিত রেখে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

বিএনপি শ্রমিকদের সঙ্গে অতীতে ছিলো ভবিষ্যতেও থাকবে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকদের আত্মদানের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, শ্রমিকরা আজও অবহেলিত। 

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ উসকে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বিরোধ উসকে দিতে চায়। গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে এ ধরনের বিশ্বাস জন্ম নিতে শুরু করেছে।

একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের কবলে পতিত হলে গণবিপ্লব কিংবা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেও ফ্যাসিবাদী সরকারের পরিবর্তন হয়। তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়”।

“এই ধরনের বিশেষ পরিস্থিতির সরকার অবৈধ নয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতির সরকার কখনই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয় এবং বিকল্প হতে পারে না”, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে গঠন হওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলো নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সমর্থন দেওয়া যৌক্তিক নয়।

এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর করার বিষয়ে সরকারের যে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান।

“দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সাথে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার” জনগণকে, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকে জানায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবিষয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা আসতে হবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমেই।

“আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, বিদেশিদের স্বার্থে নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান কিংবা অন্য কোনও দেশ নয়, সবার আগে বাংলাদেশ – এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য”, বলেন তিনি।

এর আগে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’- এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে নয়া পল্টনে শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশ। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের কার্যক্রম। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের লম্বা সড়ক সেই ফকিরাপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত হাজারো শ্রমিকের উপস্থিতিতে সমাবেশটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ১২ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার, সব প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার, বন্ধ শিল্প চালু, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান, আউট সোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী পদ সৃষ্টি, অবাধ, গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, শ্রমিক হত্যার বিচার, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা, বৈষম্যহীন জাতীয় পে-স্কেল ও মজুরি হার ঘোষণা, জরুরি পরিষেবা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল এবং খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো।

ভিওডি বাংলা/ এমপি/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান