বিচার আর সংস্কার ছাড়া মাঠ ছাড়বো না: এনসিপি


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের বিচার আর সংস্কার না হলে জুলাইয়ের মতো মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
আওয়ামী লীগের বিষয়ে নিষ্পত্তি না করে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং জুলাই সনদ দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
আওয়ামী লীগের নাম নিবন্ধনের খাতা থেকে কেটে সন্ত্রাসীর খাতায় লিখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে আওয়ামী নিষিদ্ধের ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ এমন মন্তব্য করেন নেতারা।
সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণহত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সমস্যা কোথায়? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নাম নিবন্ধনের খাতা থেকে কেটে সন্ত্রাসীর খাতায় লিখতে হবে।
আওয়ামী লীগের বিষয়ে অমীমাংসিত রেখে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খুনিদের রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। আমরা মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচু করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, ইসির মাধ্যমে একটি দল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ১৫ বছর আপনার আয়েশি জীবনে মত্ত ছিলেন। মানুষ জীবন দিয়েছে আর আপনারা নেগোসিয়েশন করেছেন।ছাত্ররা এবার সংসদসহ সব জায়গায় নেতৃত্ব দেবে। আগামীর রাজনীতি হবে জনমানুষের। পাড়ায় মহল্লায় আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করা হবে।
সামান্তা শারমিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারে কাছে দুটি বিষয় চেয়েছি। বিচার আর সংস্কার। এ দুটো ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। শহিদ পরিবারগুলো বলছে, বিচার আর সংস্কার ছাড়া মাঠ ছাড়া যাবে না। আমরাও জুলাইয়ের মতো মাঠে থাকবো। আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. তাসনিম জারা বলেন, রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, বিচার পাওয়া যাওয়া নি। আর কত গুম, খুন করলে নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ৮ মাস পরও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য রাজপথে দাঁড়াতে হলো। শেখ মুজিব গণহত্যা চালিয়েছে। দুর্ভিক্ষ হয়েছে। ১৯৯৬ সালে হাসিনা পট্টি বেধে ভোট চেয়েছে। পাস করে আলেম ওলামাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে। রাজনৈতিক কারণে আলেম ওলামাদের হত্যা করেছে। ঘর থেকে তুলে নেয়া হতো আওয়ামী লীগ আমলে, পরে লাশ পাওয়া যেতো। এ সন্ত্রাসী সংগঠনকে অবশ্যই নিতে হবে।
সারোয়ার তুষার বলেন, আওয়ামী লীগের পুর্নবাসনের দুর্ভিসন্ধি বাস্তবায়ন হবে না। যতোদিন ছাত্র-জনতা থাকবে, এনসিপি থাকবে ততোদিন আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে পারবে না। এদেশে ভারতপন্থি রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে নৌকার ব্যালট থাকতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কিনা, এ সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার নিতে পারবে না, সিদ্ধান্ত নেবে শহিদ পরিবার। আহতদের পরিবার। রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
জুলাই শহিদ মুগ্ধের ভাই সিগ্ধ বলেন, আপনারা কি আওয়ামী লীগকে ফেরত চান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা রায় দিয়েছে আওয়ামী লীগের ফিরে না আসার। যারা শহিদ হয়েছেন, পংঙ্গুত্ববরণ করেছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিষয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
