জিয়া স্মৃতি সংসদ
ওষুধ ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে পলাতক জিয়া স্মৃতি সংসদ নেতা সাদেক


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী, নিত্য নতুন অপরাধ করেই যাচ্ছিলেন বিএনপি নামধারী জিয়া স্মৃতি সংসদ ময়মনসিংহ মহানগর সভাপতি সাদেকুর রহমান সাদেক। নিরীহ এবং সৎ ওষুধ ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে এখন নিজেই পলাতক। কিছু দিন আগেও মানুষকে আওয়ামী লীগের ধূসর বলে হেনস্তা করে বেড়াতেন মাদক ব্যবসায়ী সাদেক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কে এই সাদেক? গত ৫ই আগস্ট পতিত আওয়ামী সরকার পরিবর্তনের পর থেকে এই সাদেক যাকে খুশি আওয়ামী লীগের ধূসর সাজাতে উঠে পড়ে লাগে। এবং প্রতিনিয়ত মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তবে ভুক্তভোগীরা কেউ কোন প্রতিকার পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত সাদেক এবার ঠিকই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা খেল এক সময়কারের সঙ্গী যুবলীগের নেতার কল্যাণে। তিনি ইয়াবা রাখার কথা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে র্যাবের কাছে।
এদিকে, সাদেকুর রহমান সাদেক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিমন্ত্রী শরীফের মদের যোগানদাতা ও অনুগত ক্যাডার। অথচ কি সৌভাগ্যবান সাদেক, ৫ই আগস্টের পর হলেন জিয়া স্মৃতি সংসদ ময়মনসিংহ মহানগরের সভাপতি। অথচ শহরের অন্যতম মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী এই সাদেক, মাদক মামলার আসামীই শুধু নন। তিনি শহরে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী অপরাধীদের চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে বিভিন্ন সূত্র জানা যায়।
র্যাবের মামলা সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন মানিক ও সাদেকুর রহমান সাদেক মিলে ঔষধ ব্যবসায়ী মো: মাহমুদুল হাসানকে ফাঁসানো জন্য ময়মনসিংহ নগরীর পন্ডিত পাড়া, জেলা স্কুল মোড় এলাকায় লাইফ কেয়ার মেডিসিন সপে মাদক মজুদ করেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী র্যাব বাহিনী দোকানে উপস্থিত হয়ে তল্লাসী চালিয়ে ৩২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় আশপাশের লোকজন হতবাক হয়ে যান এবং মেডিসিন ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান এই প্রকৃতির লোক নয় বলে জানান। ঐ মূহুর্তে দোকানে রক্ষিত সিসিটিভি ফোটেজ চেক করে দেখা যায়, তল্লাশীর কিছু সময় আগে একজন সাদা পায়জামা- পাঞ্জাবি ও রঙীন সানগ্লাস পড়া এক লোক রাস্তার পাশের দোকানের গ্লাসের রেকে রাখা খাবার স্যালাইনের বক্সে নাড়াচাড়া করেন এবং সাদা রঙের একটা কিছু রেখে যান যা থেকে উদ্ধারকৃত ৩২ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সনাক্ত হয় উক্ত ব্যক্তি সাদেকুর রহমান সাদেক।
পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি সহযোগিতায় যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামী সাদেকুর রহমান সাদেক পলাতক রয়েছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জিয়া স্মৃতি সংসদের বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই। দলের নিবেদিত কর্মীরা জানান, ৫ই আগষ্টের পর বিএনপির কতিপয় নেতার পশ্রয়ে ফ্যাসিবাদের দোসরা দলে ঢুকে দলের ইমেজ ক্ষুন্ন করছে। বিষয়টি হাইকমান্ডকে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত বলে বিএনপি'র নেতাকর্মীরা মনে করেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপির মহানগর শাখার মাধ্যম সারির নেতা বলেন, সাদেক ছেলে যে খারাপ এবং নেশাগ্রস্ত এটা জানার পরও কেন জিয়া স্মৃতি সংসদের মহানগর সভাপতি করা হলো? যারা এই পদ পেতে সহায়তা করেছে তাদের অপরাধ বেশি বলে মনে করি। কেননা না এমন বিষফোঁড়া দলের ভেতর আরও আছে, এদের দল থেকে বহিষ্কার না করলে সামনে আরও বিপদ আসন্ন বলে জানান তিনি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
নারীকে লাথি মারা সেই যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে এক নারীকে লাথি মেরে …

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে বিস্ফোরণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
রাজধানীর শিশু একাডেমি-সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে ‘ককটেলসদৃশ’ …

রাজধানীতে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম আহমেদনগর এলাকায় পিটিয়ে দুই যুবককে …
