মৌলিক সংস্কারে এনসিপি’র রূপরেখা


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কাছে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা জমা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার (৬ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই রূপরেখা জমা দিয়েছে দলটি।
দলটির ভাষ্য, মৌলিক সংস্কার স্রেফ নির্বাচনী সংস্কার নয়; মৌলিক সংস্কার আসন-ভিত্তিক সংসদীয় দুই-তৃতীয়াংশের জোরে করা সংবিধান সংশোধনীও নয়। মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থার ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত হবে।
মৌলিক সংস্কারের মূল উপাদানসমূহ:
১. শাসনব্যবস্থার ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী প্রবণতার উপকরণ চিহ্নিত করে তা বিলুপ্ত করা। যেমন: এককেন্দ্রিক ক্ষমতা, দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ, পক্ষপাতমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রিত বিচার বিভাগ ইত্যাদি।
২. গণতান্ত্রিক রীতি ও প্রক্রিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যেখানে জনগণের ভোট, মতামত ও অংশগ্রহণই হবে নীতিনির্ধারণের মূল ভিত্তি।
৩. ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা, যাতে কোনো এক ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠান শাসনব্যবস্থার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে না পারে।
৪. স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করা, বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন সংস্থা, মহা হিসাব নিরীক্ষক প্রভৃতি।
৫. সাংবিধানিক সুরক্ষা ও সংশোধন প্রক্রিয়ায় জন-অংশগ্রহণ সংযুক্ত করা, যাতে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার শাসন ব্যবস্থা রক্ষিত থাকে এবং জনগণের অনুমতি ছাড়া তা পরিবর্তন করা না যায়।
মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো:
১) সাংবিধানিক ব্যবস্থা ২) নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য ৩) স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ৪) সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান
৫) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ৬) সাংবিধানিক পদে নিয়োগ ৭) নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার ৮) দুদক সংস্কার ৯) স্থানীয় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ১০) জনপ্রশাসন সংস্কার।
বাংলাদেশের সংবিধান এবং রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কারের প্রয়োজন যার মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা তথা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়। এ সংস্কারের লক্ষ্য:
১. শাসনব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, বিকেন্দ্রীকরণ এবং অংশগ্রহণমূলক করা;
২. দলীয় আধিপত্য হ্রাস করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
৩. বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা ও নৈতিক শুদ্ধতা বজায় রাখা
৪. জনগণের প্রত্যক্ষ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের বিধান চালু করা এবং
৫. তরুণ ও নারীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্তির সুযোগ বাড়ানো
মৌলিক সংস্কারের বিষয় ও আওতা:
সাংবিধানিক ব্যবস্থা:
১. জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন: রাষ্ট্রের নির্বাহি বিভাগকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখার উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করা প্রয়োজন। এই প্রতিষ্ঠান সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগদান করবে।
২. দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা: ফার্স্ট পাস্ট দ্যা পোস্ট তথা আসনভিত্তিক নিম্নকক্ষ এবং ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।
উচ্চকক্ষের প্রধান প্রধান কাজ:
• সংবিধান সংশোধনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ হতে হবে।
• নিম্নকক্ষে উত্থাপিত বিল পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রস্তাব
• আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষের অনুমোদন
• সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং
৩. সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে। পাশাপাশি সরকারের স্থিতিশীলতাও যেন রক্ষিত হয় সে ধরনের সাংবিধানিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৪. ভোটার বয়স ১৬; প্রার্থীর বয়স ২৩
৫. তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান
৬. নারীর ক্ষমতায়ন ও প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি: সরাসরি ১০০ আসনে নারী সংসদ সদস্য
৭. সংবিধান সংশোধনে গণভোট: মাত্র ৩৫-৪০% ভোটে সংশোধনী ঠেকানোর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীসমূহ:
• সংবিধানের প্রস্তাবনা ও মূলনীতি (যদি থাকে)
• মৌলিক অধিকার
• নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচন কমিশনের কাঠামো
• বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
• নির্বাহী ক্ষমতার গঠন ও ভারসাম্য (রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কিত)
• সংসদ ভেঙে দেওয়া বা মেয়াদ সংক্রান্ত বিধান
• স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার কাঠামো
৮. মৌলিক অধিকার বিরোধী দমনমূলক আইন ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৩(৩) এর সংস্কার। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল, সংবিধানের ৩৩(৩) অনুচ্ছেদের প্রতিরোধমূলক আটকের ধারা সংস্কার। আটকের কারণ জানাতে হবে এবং আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করতে দিতে হবে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে।
নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য:
১. প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও ক্ষমতার সীমা:
ক. জীবনে সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে।
খ. দলনেতা, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা একই ব্যক্তি হতে পারবেন না।
২. ছায়া কেবিনেট: পার্লামেন্টের বিরোধী দল ছায়া কেবিনেট গঠন করতে পারবে। বিরোধী দলীয় সাংসদের সমন্বয়ে ছায়া কেবিনেটের কাজসমূহ:
• সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করেন,
• সরকারের নীতিনির্ধারণ ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা ও বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করেন,
• সংসদে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে আলোচনার মান উন্নত করেন,
• এবং জনমত গঠনে সরকারবিরোধী অবস্থানকে তথ্যভিত্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন।
৩. সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান বিরোধী দল থেকে হতে হবে: আইন দ্বারা নির্ধারিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি থাকবে। এ সকল কমিটির মধ্যে PAC, পরিকল্পনা, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ইত্যাদি মন্ত্রণালয়ের প্রধান অবশ্যই বিরোধী দল থেকে হওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪. প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেয়া যাবে।
স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন:
• এনসিসির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ
• নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো ও বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা
• কমিশনারদের জবাবদিহি ও জুডিশিয়াল রিভিউ: গুরুতর অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার বা সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে তা “সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল” কর্তৃক তদন্তযোগ্য হবে।
• নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নয়; একটি স্বাধীন, অরাজনৈতিক ও সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনী সীমানা কমিশন গঠন করতে হবে।
• টাকা দিয়ে ভোট কেনার প্রচেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা
• গেজেট প্রকাশের পরও জালিয়াতির প্রমাণ মিললে ফলাফল বাতিল
• প্রবাসীদের ভোটাধিকার: পোস্টাল ব্যালট, দূতাবাসভিত্তিক ভোটের বিধান এবং নিরাপদ অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা:
১. বিচার বিভাগের নিজস্ব প্রশাসনিক সচিবালয় গঠন;
২. সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন;
৩. প্রধান বিচারপতির জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ;
৪. বিচারপতি নিয়োগে জুডিশিয়াল কমিশন ও মেধাভিত্তিক পরীক্ষা;
৫. আপিল বিভাগে বিচারপতি পদোন্নতিতে নিরপেক্ষ মূল্যায়ন পদ্ধতি, এবং
৬. বিভাগীয় শহরগুলোতে হাইকোর্ট স্থায়ী আসন স্থাপন।
সাংবিধানিক পদে নিয়োগ:
সাংবিধানিক পদগুলোতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। এনসিসি হবে একমাত্র সংস্থা যার সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগ দিবেন-
• প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ
• মহা-হিসাব নিরীক্ষক
• দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য
• মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
• তথ্য কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন, শ্রম কমিশন, পুলিশ কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ও আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য সংস্থা প্রধান।
ব্যতিক্রমঃ
প্রতিরক্ষা বাহিনী ও অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যতীত সকল সাংবিধানিক পদে নিয়োগের দায়িত্ব থাকবে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের হাতে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার:
১. দুদককে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান
২. সরকারি ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষমতায় স্বাধীনতা প্রদান
বর্তমানে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) আইনের ৩২(ক) ধারায় বলা রয়েছে যে, সরকারি কর্মকর্তা বা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করার জন্য সরকারের পূর্বানুমতি নিতে হয়। এই বিধানটি অনেক সময় দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৩২(ক) ধারা বাতিল: বর্তমান আইনে থাকা ৩২(ক) ধারাটি বাতিল করতে হবে।
৩. সরকারি ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পূর্ণ স্বাধীনতা: দুদককে সরকারি ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা দায়ের, তদন্ত এবং গ্রেপ্তারের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হবে।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংস্কার:
১. দলীয় প্রতীকে নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
২. স্থানীয় শাসন নয়, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।
৩. রাইট টু রিকল ব্যবস্থা প্রবর্তন
নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনপ্রশাসন সংস্কার:
১. নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণ আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২. বিদ্যমান সিটিজেন চার্টারসমূহের শক্তিশালী আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে।
৩. নাগরিক সেবা প্রদান ও অভিযোগ প্রতিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ন্যায়পাল হিসেবে স্বাধীন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘নাগরিক সেবা ও অভিযোগ প্রতিকার কমিশন’গঠন।
৪. সেবা প্রদানের সাথে সেবা প্রদানকারী কর্মচারীর পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সরাসরি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোনো কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে সেবা প্রদান না করলে বা তার হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আপিল কর্তৃপক্ষ বা উল্লিখিত প্রস্তাবিত কমিশন দায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে তার এসিআর হতে ‘ডিমেরিটস পয়েন্ট’ হিসেবে নম্বর কর্তনের আদেশ প্রদান করতে পারবে মর্মে বিধান করতে হবে।
৫. সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ, সেবা সহজীকরণ, ই-গভর্ন্যান্স, সর্বোপরি সুশাসন নিয়ে কাজ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট, গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট এবং এটুআই-কে একত্রিত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নতুন ‘প্রশাসনিক উন্নয়ন এবং সংস্কার বিভাগ’ সৃজন করা যেতে পারে।
৬. আইন-কানুন এবং বিধি-বিধানকে সামঞ্জ্যপূর্ণ ও আধুনিক করার উদ্দেশ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এই টাস্কফোর্স স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণপূর্বক প্রতিনিয়ত আইন-কানুন এবং বিধি-বিধান হালনাগাদ করবে।
৭. সেবা প্রদান পদ্ধতি সহজতর করা, ধাপগুলো যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলা, অনলাইনভিত্তিক সহজ আবেদন ও নিষ্পত্তি পদ্ধতি বিনির্মাণ করা, সেবার গতিপ্রকৃতির অনলাইন ট্র্যাকিং প্রতিষ্ঠা করা, শুধুমাত্র যে সকল কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সেবাটির সাথে সম্পর্কযুক্ত সেগুলোই চাওয়া, সরকারি এক অফিসের তথ্য/কাগজপত্র/রেকর্ড অন্য অফিস কর্তৃক অনলাইনে যাচাই করা। যেসব সেবায় একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা আছে সেসব ক্ষেত্রে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’চালু করা।
৮. সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ওপর রাজনৈতিক চাপ এড়ানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. সেবা প্রক্রিয়াকরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীর জন্য সেবা প্রক্রিয়াকরণের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। এর উপর ভিত্তি করে একজন কর্মচারীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতটুকু কাজ করতে হবে সেটি যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। এই নির্ধারিত কাজের বিপরীতে সম্পাদিত কাজের পার্থক্য বিবেচনায় রেখে তার পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে হবে। সেসাথে দপ্তরের মোট কাজের সাথে একজন কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত কাজ বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত সংখ্যক কর্মচারীর পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
