ভারতে বাংলাদেশের ৬ টিভির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ


ডেস্ক রিপোর্ট
এ পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেছে ইউটিউব। বাংলাদেশের এই চ্যানেলগুলোর ইউটিউব চ্যানেল ভারত থেকে দেখা যাচ্ছে না।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, এ বিষয়ে ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ সরকার। যদি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গত শুক্রবার (৯ মে) ডিজিটালি রাইটের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ ডিসমিস ল্যাব জানিয়েছিল, যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার ভারত থেকে বন্ধ করেছে ইউটিউব।
শনিবার (১০ মে) ডিসমিস ল্যাব তাদের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের আরও দুটি টেলিভিশন চ্যানেল- সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচারও ভারত থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এই ছয়টি চ্যানেলই ইউটিউব ভেরিফায়েড (স্বীকৃত)। এদের মোট সাবস্ক্রাইবার ৫ কোটি ৪২ লাখের বেশি।
এই টিভিগুলোর ইউটিউব চ্যানেলে ভারত থেকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। প্রবেশ করতে গেলে লেখা আসে, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’
গতকাল রাতে ফয়েজ আহমদ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তত ৪টি টিভি স্টেশন জিও ব্লক করেছে ইউটিউব ভারত। ব্রডকাস্ট মিডিয়ামের ভৌগোলিক লোকেশন হিসেবে বাংলাদেশকে ব্লক করায় ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যারা এসব চ্যানেল নিয়মিত দেখেন, তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন কাজ কনজিউমার রাইটসের (ভোক্তা অধিকার) আন্তর্জাতিক নীতিবিরুদ্ধ বলেই প্রতীয়মান। আমরা ইউটিউবের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব। সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না পেলে আমরা পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমে বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যেই ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হবে। এসব চ্যানেল বৈধভাবে সম্প্রচার করে আসছে এবং কোনো ধরনের ভুয়া তথ্য বা উসকানিমূলক কনটেন্ট (আধেয়) প্রচারের প্রবণতা নেই।
তিনি বলেন, ইউটিউব যদি বন্ধের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারে, তাহলে ধরে নিতে হবে, এটা ভারতের রাজনৈতিক পদক্ষেপ। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশও একই পদক্ষেপ নেবে। কারণ, বাংলাদেশ এসবের মধ্যে জড়াতে চায়নি।
ভারতের কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে আসছে উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রয়েছে। তাই প্রয়োজনে এসব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ।
ভিওডি বাংলা/ এমপি
ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে ব্যবস্থা : আজাদ মজুমদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে …

পুশইন করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় ভারত
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী …

অপসংস্কৃতি বিবেকের দরজায় তালা লাগায়: কাদের গনি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, …
