• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

গণজমায়েত শুরু

‘জামায়াত নিষিদ্ধ’ দাবিতে উত্তাল শাহবাগে আ.লীগ নিষিদ্ধের ঝড়

   ১০ মে ২০২৫, ০৪:২৪ পি.এম.

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

স্থান একই আছে শুধু বদলে গেছে দাবি ও আন্দোলনকারীরা। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চ। বিতর্কিত মামলায় জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে স্লোগান তোলা হয়। ২০২৫ সালে এসে বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। আজ সেই একই জায়গায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে নেমেছে জামায়াত-শিবিরসহ জুলাই বিপ্লবের প্রেরণাকে ধারণকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ। 

২০১৩ সালে কিছু ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট গণজাগরণ মঞ্চ নামে বিরোধীমত দমনের মঞ্চ বসান শাহবাগে। সমাবেশে বিক্ষোভ ও আন্দোলনের উপায় হিসেবে আন্দোলনকারীরা বেছে নিয়েছিলেন স্লোগান, গান, কবিতা, নাটক। যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে পোড়ানো হয় জামায়াত নেতাদের কুশপুত্তলিকা। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল কাদের মোল্লাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ও জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করা।

তবে ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর হাসিনা সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়নের অবসানের পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। সেই শাহবাগেই জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঝড় তুলছে। শুধু জামায়াত-শিবির নয়; জুলাই বিপ্লবের প্রেরণাকে ধারণকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষও কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে স্লোগান তুলছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের। 

গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে এনসিপি নেতাকর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে শাহবাগে মিছিল নিয়ে এসে অবস্থান নেন হাজারো মানুষ। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে মূল সড়কে বসে পড়ে শুরু হয় ‘শাহবাগ ব্লকেড’। আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

শাহবাগ ঘুরে দেখা যায়, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত-শিবির। এই আন্দোলনে বিএনপি ছাড়া প্রায় সকল রাজনৈতিক দলই সমর্থন জানিয়ে অংশ নিয়েছে। তবে জামায়াত-শিবির নেতাদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

এদিন রাত ১১টার দিকে শাহবাগে সংবাদ সম্মেলন থেকে হাসনাত আব্দুল্লাহ নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সে সময় তিনি বলেন, আজকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টা থেকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এই কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে তিন দফা দাবি দিয়েছি। তিন দফার মধ্যে প্রথম দফা হচ্ছে আওয়ামী লীগের যত সহযোগী সংগঠন রয়েছে, সব সংগঠনসহ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের দ্বিতীয় দফা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে এবং তৃতীয় দাবি জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

তিনি বলেন, এই তিন দফা দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই মাঠ ছাড়বো না।

এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না, ব্লকেড খুলে দিন।

আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে শুরু হয়েছে বিশাল গণজমায়েত ও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি। শনিবার (১০ মে) বেলা তিনটার পর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও ছাত্র-জনতা।

শাহবাগ মোড়ের বিজ্ঞাপন বোর্ডের নিচে সিঁড়ির ওপর অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সিবগাতুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন৷ 

সারজিস আলম কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সবাইকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আজকে এক মাইক থেকে এক লক্ষ্যে কর্মসূচি পালিত হবে৷ কেউ ভিন্ন মাইক ব্যবহার করবেন না৷’

শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচির মাইকে নানা স্লোগান দেয়া হচ্ছে৷ এগুলোর মধ্যে আছে ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’, ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’, ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ প্রভৃতি৷

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শুক্রবার (৯ মে) স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আইনের কোনো বাধা নেই। আমাদের হাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ প্রয়োজনীয় সব কাঠামো আছে। এই বক্তব্যের পর রাজনীতিতে নেমে এসেছে বিদ্যুৎচমক। বিশ্লেষকরা বলছেন- এটি কেবল একটি দলের অস্তিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আইন আছে, প্রয়োগ হবে?

আইন উপদেষ্টার মতে, সংবিধান ও প্রচলিত আইনের আওতায় একটি দলকে নিষিদ্ধ করার যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। উল্লেখযোগ্য আইনের মধ্যে রয়েছে:

বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪: কোনো ‘ধ্বংসাত্মক’ সংগঠন নিষিদ্ধের ক্ষমতা সরকারকে দেয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ, ১৯৭৮: জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব কিংবা সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনায় জড়িত দল নিষিদ্ধযোগ্য।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯: সহিংস কার্যকলাপের জন্য দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দল নিষিদ্ধ নতুন কিছু নয় বরং, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই রাষ্ট্র কর্তৃক বিভিন্ন দল ও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার নজির রয়েছে।

প্রধান নিষেধাজ্ঞার ঘটনাগুলো:

১৯৭১–৭৫: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ, জামায়াতসহ একাধিক সংগঠন নিষিদ্ধ হয়।

১৯৭৬–৭৯: রাষ্ট্রপতি সায়েম ও জিয়াউর রহমান জামায়াতকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনেন।

২০১৩: হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে।

২০২৪: জামায়াত ও ছাত্রশিবির সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ; পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

২০২৪ সালের অক্টোবরে: বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে ‘সর্বহারা পার্টি’ ও ‘পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (পিবিসিপি)’ এখনও নিষিদ্ধ। তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র চরমপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

কী হতে পারে পরিণতি?

রাজনীতিতে অচলাবস্থা বাড়তে পারে।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নজরে পড়বে বাংলাদেশ।

সহিংসতার ঝুঁকি বাড়তে পারে রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে।

বিরোধী দলগুলোর উপরও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আইনগত ভিত্তি থাকলেও রাজনৈতিক পরিণতি সুদূরপ্রসারী। অতীতে যেসব দল নিষিদ্ধ হয়েছিল, তাদের অনেকেই পরে ফিরে এসেছে, কেউ আবার নাম পাল্টে ফিরে এসেছে।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার আইনি কাঠামো ও বিতর্ক

বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার আইনি সুযোগ থাকলেও, তা বাস্তবায়ন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দিক থেকে এক জটিল ও বিতর্কিত বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মাধ্যমে দল নিষিদ্ধ করা সম্ভব হলেও এর প্রয়োগ এবং যৌক্তিকতা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ‘পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮ এবং ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ -এই দুটি আইনের আওতায় কোনো রাজনৈতিক দলকে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে। তবে এর প্রক্রিয়া এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যদি কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়ায়, তবে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রেফারেন্স পাঠানো হয়। আদালত তখন মামলার মতো শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেন। সরকারের দিক থেকে এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রয়োগ করা হয়।

এছাড়া, সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায়, যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে কোনো দল সন্ত্রাসে অর্থায়ন করছে বা সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দলটিকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব।

তবে ব্যারিস্টার বড়ুয়া মনে করেন, এসব ক্ষেত্রে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বা ‘গণহত্যা’র মতো গুরুতর অভিযোগ না থাকলেও, প্রক্রিয়াটি বিতর্কের উর্ধ্বে নয়। কারণ, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা মানে কেবল একটি সংগঠন বন্ধ করা নয়-বরং তা সমাজে এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করতে পারে।

অন্যদিকে, ব্যারিস্টার আহসানুল করিম বলেন, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১৮ ধারা ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তেমনিভাবে, একই ধারার প্রেক্ষিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করার সুযোগ তাত্ত্বিকভাবে রয়েছে, যদি দলটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী বা সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

তবে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত যদি শুধুমাত্র নির্বাহী আদেশে গৃহীত হয়, তাহলে সেটি আইনি প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। কারণ, আইন অনুযায়ী ‘ব্যক্তি বা সত্তা’ শব্দের সংজ্ঞায় রাজনৈতিক দল অন্তর্ভুক্ত কি না, সে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টতা নেই।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনার বিষয়ে ব্যারিস্টার বড়ুয়া বলেন, জুলাইয়ের সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে কিছুজন এমন দাবি করছেন। তবে তিনি মনে করেন, ছাত্রলীগের মতো সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ-যেমন চাঁদাবাজি বা সিট বাণিজ্য-আইনি মানদণ্ডে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট নয়।

তার মতে, এই বিষয়টি যতটা না আইনগত, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দলটি নতুন নামে সংগঠিত হয়ে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বরং দলগুলোকে বিকল্প পথে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দেশ গড়তে নতুন সংবিধান প্রণয়ন নাকি সংস্কার
দেশ গড়তে নতুন সংবিধান প্রণয়ন নাকি সংস্কার
মৃত্যুর পর ‘অজ্ঞাত’ হয়ে যায় হাজারো মরদেহ
মৃত্যুর পর ‘অজ্ঞাত’ হয়ে যায় হাজারো মরদেহ
বিএনপিতে বাড়ছে দলীয় কোন্দল!
বিএনপিতে বাড়ছে দলীয় কোন্দল!