জামায়াত অফিসে কোরআন শরিফ ছিল না, দাবি ফায়ার সার্ভিসের


পাবনা প্রতিনিধি
ঘটনার দিন জামায়াতের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে সেখানে স্তূপ করা কোরআন শরিফ বা বই পুস্তক কিছুই দেখেননি বলে দাবি করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এমনকি পরদিন সকাল পর্যন্ত সেখানে নতুন করে আগুন লাগারও কোনো তথ্য পাননি বলে দাবি তাঁদের।
রোববার (১৮ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাবনার আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মোস্তাফিজুর রহমান এ দাবি করেন।
ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওতে আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘গত ১৫ মে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর আমি দোতলায় আগুন দেখতে পাই। ওখানে প্রচণ্ড ধোঁয়া ছিল। দুইটা রুমে চেয়ার-টেবিল, ওপরে আগুন ছিল। ওইটা আমি অতি সত্বর নিভিয়ে চলে আসি। প্রায় ৫ মিনিটের মতো আমরা এই কাজ করেছি।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। যেহেতু এটা গন্ডগোলের আগুন ছিল। ওটা ছিল জামায়াতের পার্টি অফিস। আমি দেখেছি ওখানে দুইটা রুমের মধ্যে চেয়ার-টেবিল ছিল, ওখানে আগুন ছিল। আগুন নিভিয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। সেখানে কোরআন শরিফ, ওই রকম স্তূপ করা কোরআন শরিফ বা বই পুস্তক দেখি নাই আমরা। যেহেতু আগুন নির্বাপণ করার পরেই চলে আসছি, তাই পরে আর আগুন লাগার কোনো মেসেজ আমরা পাইনি। পরদিন সকাল পর্যন্ত আমরা আর আগুনের কোনো মেসেজ পাই নাই।’
তার পর থেকে ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে। সবার মনে প্রশ্ন তাহলে জামায়াতের অফিসে কোরআন শরিফ পুড়ল কীভাবে? কারাই বা পোড়াল ? বিএনপি-জামায়াত-ই বা কেন একে অপরকে দোষারোপ করছে। তাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে উপজেলা ও জেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
এর আগে শনিবার (১৭ মে) ‘পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ইমাম নামাজ পড়াতে পারবে না’ বলে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়।
হাবিবের এই বক্তব্যের পরই দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী উপজেলা ও জেলা সদরে জামায়াত-বিএনপির মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতির মাঝে আটঘরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্যে নতুন মোড় নিল সেদিনের ঘটনার।
এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘ওই দলের বড় নেতা কী বলেছিলেন? জামায়াতের অফিসে আগুনই লাগেনি। এখন কী হলো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, তাঁরা গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন। আর কোরআন শরিফ না থাকার যে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, তাঁকে আসলে চাপ দিয়ে মিথ্যা কথা বলানো হয়েছে। বিএনপির বড় নেতার চাপে তিনি পড়ে গেছেন বিপদে। অথচ তাঁকে এখন আর আমরা ফোনে পাচ্ছি না। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারলে বিষয়টি বুঝতে পারতাম। ঘটনার পর তো এলাকার মানুষ সবাই দেখেছে সেখানে কোরআন শরিফ ছিল কি না।’
উল্লেখ্য, আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম তোলা নিয়ে ১৫ মে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই দলের দলীয় কার্যালয় এবং ২৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনা উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। জামায়াতের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
বাঁশখালীতে ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশ চেকপোস্টে ইয়াবসহ ৪ মাদক …

কুমারখালীতে পাট জাগ দিতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা-ছেলের মৃত্যু
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জংগলী গ্রামের …

ভুরুঙ্গামারীতে মাদক মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মাদক মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শেখ …
