দেশ যে দিকে যাচ্ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে: দুদু


নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে প্রতিহিংসা করে চলছে ভারত। ফারাক্কা বাঁধের চুক্তি অনুযায়ী প্রাপ্য দেয়নি ভারত, একই সাথে কোনো সভ্য দেশ আরেকটি দেশের ভিসা বন্ধ করতে পারে না। শেখ হাসিনা ভারতের দাসত্ব করেছে। সেই সাথে ড. ইউনূসের দায়িত্ব হলো নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত- ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্র সুশাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
দুদু বলেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের মতো এখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরেও মেয়র হতে দেওয়া হয়নি ইশরাককে। কোর্ট তাকে রায় দেওয়ার পরেও তাকে শপথ করানো হচ্ছে না। এখন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে সরকার। লুটপাটের চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক কে মেয়র পদে বসতে দিচ্ছে না। কোর্টের আইন যদি কেউ না মানে তাকে বন্য বা ফ্যাসিস্ট বলা। সরকার কি সেই লাইনে যাচ্ছে কিনা চিন্তার বিষয়।
আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিএনপি চলে এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর এ কথার প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, আমি তাকে আবাল বলবো। কথা বলার আগে একটু চিন্তা-ভাবনা করে বলতে হয়। আবালের মত কথা বললে তোমাদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা কোথায় যাচ্ছে একটু চিন্তা করো। এমন কোন কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। হিসাব করে চলা এবং বলা ও গণতন্ত্রের রীতিনীতি না মানলে ফ্যাসিস্ট হিসাবে চিহ্নিত হবা। এরকম প্রতিহিংসামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশ যে দিকে যাচ্ছে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। এসরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এই জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ড ইউনুস ফেল করে তাহলে সুপ্রিমকোর্টকে অনুরোধ করবো এদেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। সুপ্রিম কোর্টেরও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণের রক্ষা করা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস এর উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, অতি সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুত একটি ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তিনি যাবেন এ প্রত্যাশা করি।
ভারতের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভারত সভ্য দেশ হলে আরেকটি সভ্য দেশের ভিসা বন্ধ করত না, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ করতো না। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করত না। তিস্তা নদীর পানি বন্ধ করতো না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে সবাই আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপি'র সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রধান সমন্বয়কারী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন,সাংস্কৃতিক দলের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. হাসানুল ইসলাম রাজা, তাঁতি দলের সাবেক যুগ্মআহবায়ক আলহাজ্ব মো. ইউনুছ আলী, বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী এসএম মিজানুর রহমান প্রজন্ম একাডেমি সভাপতি কালাম ফয়েজি মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, জাগ্রত বাংলাদেশ সভাপতি জহিরুল ইসলাম কলিমসহ প্রমুখ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
