• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান ঈদের দিনেও আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা: বিবিসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের

কয়েকজন উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: জাহিদ হোসেন

   ২৪ মে ২০২৫, ০৪:১৮ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, কয়েকজন উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। সরকারকে সেসব উপদেষ্টাদের লাগাম টেনে ধরতে হবে।

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জাহিদ হোসেন বলেন, জুলাই অভুত্থানে যাদের ন্যূনতম অবদান নেই, তারা এখন বিদেশ থেকে এসে উপদেষ্টা হয়েছেন। পাশাপাশি তারা নানা বয়ান তৈরি করছে। এককভাবে সরকার কিছু করতে চাইলে স্বৈরাচার সরকারের মতো পরিস্থিতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আচরণ ভালো হলে জনগণে আস্থা পাওয়া যায়। রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করবেন না। বিএনপি এই সরকারকে সফল দেখতে চায়। এ সময় সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত না করতে আহ্বানও জানান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছে তা করছেন। মনে হচ্ছে, এটা আপনাদের পৈতৃক সম্পত্তি। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কে যাবে আসবে আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন, মনে হচ্ছে জনগণের কোনো দায় নেই। যেমনটা পতিত স্বৈরাচার করত, কিন্তু আপনারা এসব দায় ইউনূস স্যারের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করার জন্য উপদেষ্টা কাউন্সিলের অনেক সদস্য জড়িত।’

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অতীতকে আপনি ভুলে যাবেন না। প্রথমে বয়ান দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্ট এটি নাকি দ্বিতীয় জন্ম। এসব কথা বলার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ৪৭ যদি না হতো ৭১ পেতেন না, ৭১ না হলে ২৪ হতো কিনা বিরাট বড় প্রশ্ন। কাজেই মনে রাখতে হবে, ইতিহাসের ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা করবেন না। যার যতটুকু অবদান, সেটাকে স্বীকার করার মধ্যেই সত্যিকার অর্থে বীরত্ব আছে। আপনি যে দেশের ভালো চান, সেটি প্রমাণ করুন। আর যদি এককভাবে কিছু করেন তাহলে, পতিত স্বৈরাচার সরকারের মতো অবস্থা আপনাদেরও হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন, আমরা কি নির্বাচন দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা হয়েছি! ৩৫  জুলাইয়ের আগে তো আপনাদেরকে রাস্তায় দেখা যায়নি। গত ১৮ বছর বাংলাদেশের মানুষের ওপর যে নির্যাতন, গুম-খুন করা হয়েছে, আপনাদের দু-একজন বাদে কাউকে তো কোনোদিন একটা কলাম লিখতে দেখিনি। আপনারা বিদেশে ছিলেন, আর এখন চেয়ার নিয়েছেন, এসি ঘরে থাকেন, পুলিশ নিয়ে চলেন। আর ভাবতে শুরু করেছেন যে, আপনারাই আমাদের হর্তাকর্তা। এরকম চিন্তা করা ঠিক নয়।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ড. ইউনূস সাহেবকে যদি আমরা ধরি, উনি ৯৯.৯ আর আপনারা সবাই মিলে ০.০১ পারসেন্ট। মনে রাখবেন কেউ ড. ইউনূস হওয়ার চেষ্টা করবেন না। ড. ইউনূস নিজের মুখ দিয়ে এখনো কিছু বলেননি। ওনার প্রেস সেক্রেটারি বলে, উপদেষ্টা বলে, বিশেষ সহকারী বলে, এরপরে কতক্ষণ পরে সেটি ডিলিট করে দেয়। মনে হচ্ছে, আমরা একটা মগের মুল্লুকের মধ্যে আছি। এটা তো হতে পারে না।’

এনসিপির উদ্দেশ ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে কেন আন্দোলন হবে এই উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে। কারণ আপনারা আইন-আদালতকে বিশ্বাস করেন না। আইন-আদালত যখন আপনাদের পক্ষে থাকে তখন আপনারা খুশি। আর যখন বিপক্ষে যায়, তখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এটা কী! এগুলো তো শেখ হাসিনার মানসিকতা। সবসময় আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্র-জনতা মাঠে থাকে। পরে দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেয়, কাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন, কিন্তু, এখানে এটা উল্টো হয়েছে। আপনারা নিজেদেরকে ট্যাগ ধরে ফেলেছেন। আপনারা সব কৃতিত্ব নিজেদের দাবি করেন। অন্য সবাইকে আপনারা অপমানিত করলেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। জুলাই-আগস্ট মাসে তারা সেটি প্রমাণ করেছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে গেলে আপনারা নিজেরাই বিতর্কিত হয়ে যাবেন। আপনাদের দাবি থাকতেই পারে, কিন্তু রাত ১২টার সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যমুনা ঘেরাও করেন। দাবি করারও তো একটা সিস্টেম আছে। আপনারা মনে করেন, এই সরকার আপনাদের নিজের। অবশ্যই এর জন্য সরকারের কতিপয় ব্যক্তিও দায়ী। কারণ ওনারা কেউ উপদেষ্টা হয়েছেন এবং ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। পতিত স্বৈরাচারও ক্ষমতা দেখিয়েছিল, কিন্তু টেকেনি।’

অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তালুকদার জহিরুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। 

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান