চট্টগ্রাম বন্দর
দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে : কর্নেল অলি


নিজস্ব প্রতিবেদক
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব. ) বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের অব্যস্থাপনার দরুণ পন্য খালাসে অতিরিক্ত সময় লাগে। এতে করে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। যেহেতু দেশের সিংহভাগ পণ্যের আমদানি-রপ্তানি হয় এ বন্দর দিয়ে, সেহেতু বন্দরের অব্যবস্থাপনা দূর করতে দেরি হলে দেশের উন্নয়নে এর প্রভাব পড়বে। এ বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়নসহ অন্যান্য দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
শনিবার (২৪ মে) অলি আহমদের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর এবং বৃহত্তম বন্দর। দেশের প্রায় ৯৯% কন্টেইনার এবং ৯৩% আমদানির রস্তানি কার্যক্রম এই বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। যদিও বাংলাদেশে আরও দুইটি সমুদ্র বন্দর রয়েছে তথাপিও এটি বাংলাদেশের একমাত্র বন্দর বললে অত্যুক্তি হবে না।
কর্নেল অলি বলেন, বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য এবং তার ৯৮ শতাংশ নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রাকৃতিক কারণে ২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। এ কারণে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বের খ্যাতিমান বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৩৩ শতাংশ বেড়েছে, যা অব্যাহত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখাচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে পণ্য আমদানি হয়েছে ৭.৮৭ কোটি টন। গত অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য আমদানি হয়েছিল ৭.৪০ কোটি টন। এই সময়ে এসব আমদানি পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪.২৩ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ৩.৭০ লাখ কোটি টাকার তুলনায় ১৪.৩৫ শতাংশ বেশি।
সাবেক এই যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মূল অংশে ১২ (বার) টি berth/(জেটি রয়েছে। এই বারোটি জেটিতে বারটি প্রাইভেট বার্থ অপারেটর পণ্য উঠানামার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু এর সকল infrastructure চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের দুটি টার্মিনাল রয়েছে। যথাক্রমে Chittagong Container Terminal (CCT) এবং New Mooring Container Terminal (NCT), এই দুইটি টার্মিনাল ও একটি প্রাইভেট অপারেটর কর্তৃক পরিচালিত হয়। টার্মিনাল দুটি র Infrastructure এবং Superstructure চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মাণে করা হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবার কারণে স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম বন্দরের উৎপাদনশীলতা বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ এবং একেবারে উন্নত বন্দর সমূহের মতো নয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ করে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর জন্য যে সকল যান্ত্রিক উপকরণ ব্যবহৃত হয় তাও বেশ পুরনো ধরনের।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর নামে যে পরিমাণ লুটপাট হয়েছে, তা আমাদের চোখের সামনেই ঘটেছে। প্রায় পৌনে তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ লোপাট হয়েছে প্রকল্প বাজেট ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে, অসমাপ্ত কাজের বিল তুলে, রাজনৈতিক বিবেচনায় অদক্ষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে, ঘুষ-কমিশনের বিনিময়ে বরাদ্দ বণ্টন করে। এর বাইরেও অপচয় হয়েছে আরও ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ সরকারের কয়েক বছরের বাজেটের সমান।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মারা গেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের …

খালেদা জিয়া ভালো আছেন, সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির …

ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …
