• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
প্রগতি লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গুনাগরী সার্ভিসিং সেল কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক উন্নয়ন সভা শেরপুরে বিজিবির ভারতে পাচারকালে ৬৩ কেজি শিং মাছ জব্দ বাকৃবিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার জুলাই ৩৬ হলের ১৫ ছাত্রী ফুলবাড়ীতে  চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে  কিশোরী ও অভিভাবক সমাবেশ গোয়ালন্দে জুয়ার আসর থেকে ৮ জন গ্রেপ্তার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না শিবির জাতীয় সংগীত মানে না, তাই ঐক্য অসম্ভব : নাছির দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা রাজবাড়ীতে ওয়ারেন্টভুক্ত ছয় আসামি গ্রেপ্তার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

তারেক রহমান ও বাবরের আপিল শুনানি আগামীকাল

   ২৬ মে ২০২৫, ১১:৪২ এ.এম.
ছবি: সংগৃহীত

আদালত প্রতিবেদক

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৬ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ১৫ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ ২৬ মে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ লিভ টু আপিল দুটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। পরে তিনি বলেন, লিভ টু আপিল শোনা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি আজ আদালতে নেই। সে জন্য আগামীকাল শুনানির জন্য রেখেছেন আপিল বিভাগ।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল, জেল আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। এই রায়ের ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিরা খালাস পান।

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। গত ১৩ মার্চ আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। চেম্বার আদালত সেদিন আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ নেতাকর্মী। ওই হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত মামলা দুটির রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত।

মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালে এটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে, কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুই মামলায় আলাদা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি শুরু করে।

তবে সরকার বদলের পর দ্বৈত বেঞ্চের একজন বিচারপতি পরিবর্তন হলে আপিল শুনানির বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর নতুন করে আবারও আপিলের শুনানি শুরু হয় নবগঠিত বেঞ্চে।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সোহাগ হত্যাকাণ্ডে আসামি সজীবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
সোহাগ হত্যাকাণ্ডে আসামি সজীবের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া টেকসই গণতন্ত্র সম্ভব নয়: প্রধান বিচারপতি
স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া টেকসই গণতন্ত্র সম্ভব নয়: প্রধান বিচারপতি
ধানের শীষের প্রার্থী হতে সুপ্রিম কোর্টের ৪০ আইনজীবীর দৌড়ঝাঁপ
ধানের শীষের প্রার্থী হতে সুপ্রিম কোর্টের ৪০ আইনজীবীর দৌড়ঝাঁপ