• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
প্রগতি লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী গুনাগরী সার্ভিসিং সেল কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক উন্নয়ন সভা শেরপুরে বিজিবির ভারতে পাচারকালে ৬৩ কেজি শিং মাছ জব্দ বাকৃবিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার জুলাই ৩৬ হলের ১৫ ছাত্রী ফুলবাড়ীতে  চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে  কিশোরী ও অভিভাবক সমাবেশ গোয়ালন্দে জুয়ার আসর থেকে ৮ জন গ্রেপ্তার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের দায় সরকার এড়াতে পারে না শিবির জাতীয় সংগীত মানে না, তাই ঐক্য অসম্ভব : নাছির দেশকে সুশৃঙ্খল অবস্থানে আনতে একটি কার্যকর নির্বাচন লাগবে মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা রাজবাড়ীতে ওয়ারেন্টভুক্ত ছয় আসামি গ্রেপ্তার

বৃষ্টির দিনে রাসুল (সা.)-এর আমল

   ২৯ মে ২০২৫, ০৯:০৮ পি.এম.
প্রতীকী ছবি

ভিওডি বাংলা ডেস্ক

বৃষ্টি মহান আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ মাটিকে উর্বর করে তোলেন। মাটির বুকে শস্যের হাসি ফোটান। বৃষ্টির সঙ্গে মানুষসহ অন্য প্রাণীদের রিজিকের সম্পর্ক রয়েছে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বৃষ্টির পানিকে বরকতময় পানি বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি নাজিল করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ৯)
তাই মুমিনের উচিত বৃষ্টি এলেই মহান আল্লাহর শোকর করা।

আল্লাহর কাছে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করা। আয়েশা (রা.) বলেন, যখন বৃষ্টি হতো রাসুল (সা.) তখন বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআহ।’ অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী করে দাও। (নাসায়ি, হাদিস : ১৫২৩)। কারণ বৃষ্টি যেমন উপকারী, তেমনি কখনো তা আল্লাহর হুকুমে দুর্ভিক্ষের কারণও হতে পারে।

আবু হুরায়রা‌ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অনাবৃষ্টির কারণেই কেবল দুর্ভিক্ষ হবে না, বরং অধিক বৃষ্টিপাত হতে থাকবে এবং জমিন কোনো কিছু উৎপাদন করবে না (ফলে তা দুর্ভিক্ষের কারণ হয়ে থাকে)। (মুসলিম, হাদিস : ৭১৮৩)

এ জন্য বৃষ্টি এলেই মহান আল্লাহর কাছে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করা সুন্নত। এবং অতিবৃষ্টি দেখা দিলে তা থেকে উত্তরণের দোয়াও নবীজি (সা.) শিখিয়েছেন। রাসুল (সা.) একবার অতিবৃষ্টিতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’ অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি বৃষ্টি আমাদের আশপাশে বর্ষণ করো, আমাদের ওপরে নয়। (নাসায়ি, হাদিস : ১৫২৭)

বৃষ্টি শেষেও রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবায়ে কিরামকে একটি বিশেষ দোয়া পড়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। দোয়াটি হলো—‘মুতিরনা বিফাদলিল্লাহি ওয়া রহমাতিহ।’ এর অর্থ হলো—আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। (বুখারি, হাদিস : ১০৩৮)

কারণ মক্কার কাফিররা ভাবত আকাশের বিভিন্ন নক্ষত্র আমাদের বৃষ্টি দেয়। অথচ এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। রাসুল (সা.) বৃষ্টি শেষে এই দোয়া পড়ে এ কথার সাক্ষ্য দিতেন যে মহান আল্লাহই আমাদের বৃষ্টি দেন।

বৃষ্টির সময় সুযোগ হলে বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা, বৃষ্টিতে ভেজাও সুন্নত। এতে নবীজি (সা.)-এর সুন্নত যেমন আদায় হবে, তেমনি শরীর ও মনের জন্যই এটি বেশ উপকারী। আনাস (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম এমন সময় বৃষ্টি নামল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কাপড় খুলে দিলেন। ফলে এতে বৃষ্টির পানি পৌঁছাল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! এরূপ কেন করলেন? তিনি বলেন, কেননা এটা মহান আল্লাহর কাছে থেকে আসার সময় খুবই অল্প। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৮)

বৃষ্টির সময়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তখন মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা, নিজের গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়া এবং সব প্রয়োজন পূরণে মহান আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, কেননা বৃষ্টির সময় মহান আল্লাহ দোয়া কবুল করেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বৃষ্টির সময়ের দোয়া কবুল হয়ে থাকে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৪০)

মহান আল্লাহ আমাদের বৃষ্টির সময় আমলময় করে তোলার তাওফিক দান করুন।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দেশে ফিরেছেন ৩২ হাজার ৩৭০ হাজি
দেশে ফিরেছেন ৩২ হাজার ৩৭০ হাজি
ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে কুরবানীর পশু
ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে কুরবানীর পশু
আরাফার দিবস ও আমাদের করনীয়
আরাফার দিবস ও আমাদের করনীয়