বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত গণতন্ত্র ফিরে পায়নি : ডা. রফিক


নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ এখনও তার কাঙ্খিত গণতন্ত্র ফিরে পায়নি। গত ১৭ বছর ধরে দেশে গনতন্ত্রের চর্চা নেই। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর দেশ একটি সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিলো, কিন্তু আমরা সেই পথে হাটতে দেখছি না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।
তিনি বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর দেশের গণতন্ত্র যখন ভূলুণ্ঠিত হয়েছিলো, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে হেটেছিলো। তিনি চাইলেই ক্ষমতার সর্বোচ্চ উপভোগ করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা 'বাকশাল'-এর পতনের পর, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন শহীদ জিয়া। ১৯৭৭ সালে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ পুনঃপ্রবর্তন করেন এবং এ জন্যই দেশবাসীর হৃদয়ে আজও রয়ে গেছেন।
রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার অবদান নিয়ে ডা. রফিক বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য তার জীবন উজার করে দিয়েছেন। ৯০-এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেত্রী ছিলেন তিনি। তিনি তিনবার গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তারেক রহমানের অবদান নিয়ে তিনি বলেন, ১/১১ সময়ে তিনি নির্যাতিত হয়েছেন, তাকে নিয়ে মিডিয়ায় মিথ্যা ট্রায়াল হয়েছে, কিন্তু তিনি দেশকে ভুলে যাননি। জুলাই আন্দোলনে তার নেতৃত্ব আজকে ওপেন সিক্রেট। আন্দোলনে রাজপথ থেকে শুরু করে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য সবক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষভাবে তিনি দেখভাল করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে তার সবার আগে বাংলাদেশ স্লোগানে দেশবাসী নতুন করে উজ্জীবিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন ১৯ দফা দিয়ে দেশকে আধুনিক বাংলাদেশে রূপান্তর করেছিলেন তেমনি তার ঘোষিত ৩১ দফা আজ আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখায়।
ডা. রফিক বলেন, অর্থনীতি, আইনের শাসন, গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা, পররাষ্ট্রনীতি, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই এক ম্যাজিকের নাম জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াইটি শেষ হয়নি। শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া দল অতীতের মত এবারও সামনে থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বরাবরের মত এবারও দেশবাসী জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে আশার আলো দেখছে। দেশে প্রকৃত গনতন্ত্র উদ্ধার না করে জিয়ার আদর্শের একটি সৈনিকও ঘরে ফিরবে না ইনশাআল্লাহ।
বাদ জোহর মিলাদ ও দোয়া শেষে আজিমপুরে একটি এতিমখানায় শিশুদের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রতি পবিত্র মাহে রমজানে বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম ইফতার এতিম শিশুদের সাথে করার কথা স্মরণ করেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই: খোকন
নরসিংদী প্রতিনিধি
অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয় …

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক …

এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের …
