• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ইশরাক হোসেন এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে : ১২ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান ঈদের দিনেও আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা: বিবিসি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ সেনাপ্রধানের

শেখ হাসিনার বাজেটের সাথে প্রস্তাবিত বাজেটের পার্থক্য নেই: রিজভী

   ৩ জুন ২০২৫, ০২:১৭ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনারা (সরকার) ৭ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। এই বাজেট শেখ হাসিনার সাথে পার্থক্য কি বলুন? শেখ হাসিনাও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল আপনারাও দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ মে) দুপুরে পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থ্যদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, 'আমরা চাই বাংলাদেশ ভালো চলুক। দেশে সুষ্ঠ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। নির্বাচনটা কবে হবে আর কত দেরি হবে জিজ্ঞেস করলে উপদেষ্টা চুপ করে থাকে। একটা সময় সংস্কারকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী করেছে। সংস্কারকে সামনে নিয়ে এসেছে। এখন তাও বলা হচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেয়া বাজেট সম্পর্কে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'আপনারা (সরকার) ৭ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে দিয়েছেন। এই বাজেট শেখ হাসিনার সাথে পার্থক্য কি বলুন? শেখ হাসিনাও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল আপনারাও দিয়েছেন। এটা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ড ইউনূসের সরকার। এই সরকারের হাত দিয়ে কেন খারাপ কাজ হবে এটা মানুষ জানতে চায়। 
৭ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে এই বাজেটের ২৩ শতাংশ উপরে যাবে শুধুমাত্র প্রশাসনের বেতনের জন্যে। আর সুদের টাকা যাবে ১৪ শতাংশ। তাহলে গরিব মানুষের জন্য কি রেখেছেন? লাভের গুড় তো পিপড়ায় খেয়ে ফেলছে তাহলে জনগণের জন্য কি করলেন? 

রিজভী বলেন, 'স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম। কিন্তু আমাদের তো বেশি দরকার স্বাস্থ্য খাত ও শিক্ষা খাতে। সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা তো সরকারই দেখবে। ড ইউনূস ক্ষমতায় আসার আগে অনেক কথা বলেছেন। এখন তো তিনি নিজে ক্ষমতায়। তিনি তো গরিব মানুষকে দেখবেন। তিনি বলেছিলেন দরিদ্রকে জাদুঘরে পাঠান। এখন দেখছি উনার হাত দিয়ে লুটেরা, ব্যাংক ডাকাতরা চাঁদের হাতে কালো টাকা তারা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছে। যদি শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম থাকে তাহলে মানুষের কল্যাণে যে লড়াই ১৫ বছর ধরে হয়েছে সর্বশেষ জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতা আত্মহতি দিয়েছে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ড ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছে যে আপনি বেশ ভালো চালান। তার হাত দিয়ে যে বাজেট সে বাজেট গরীবকে আরো গরীব করা এবং মুদ্রাস্ফীতি কমানোর টা তো দেখতে পাচ্ছি না। মধ্যবতী ও নিম্ন মধ্যবর্তী মানুষের চাপ আরো বাড়বে। 

বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানকে শুধু নেতা বললে হবে না, তিনি একটা যুগ সৃষ্টি করা নেতা। জনগণ তাকে নাম দিয়েছে রাখাল রাজা। তিনি মাইলের পর মাইল হেঁটে জনগণের দুর্দশা উপলব্ধি করেছেন। তিনি অনেক ভালো ভালো কর্মসূচি করেছেন। জিয়াউর রহমান জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এমন সময় ক্ষমতায় এসেছেন একদিকে রাজনৈতিক সংকট এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকট। ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময় ক্ষুদা-দারিদ্র্যায় মানুষ এক মুঠো ভাত পাচ্ছে না। এসমস্ত বিপর্যস্তকর পরিস্থিতির পরে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি এগুলো রক্ষার মাধ্যমে কি করে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, একারণে তিনি সারাদেশে খাল খনন করেছেন। খাদ্য উৎপাদনের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অল্প সুদে তিনি ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে গোটা জাতিকে তিনি একটা শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন।   

রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান মানুষের কাছে একজন অনুকরণীয় নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাকে দেশ বিদেশের আন্তর্জাতিক শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে পছন্দ করে না, সেজন্য তাকে (জিয়াউর রহমান) আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হলো। তিনি কেন নিজ দেশকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন, দেশকে কেন স্বাবলম্বী করছেন, কেন দেশকে গণতন্ত্র দিচ্ছেন। 

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের নমুনা শেখ হাসিনার আমলে দেখেছি, তার বাপের আমলেও তা-ই ছিল। সে আইন করেছে, কালাকানুন অনেক করেছে৷ কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। যারা কিছুটা মত প্রকাশ করেছেন, তাদের ঠিকানা হয়েছে কারাগারে। এই আমলের ব্যতিক্রম ছিল বিএনপির আমল। বিএনপির আমলে যে কোনো মানুষ নির্বিঘ্নে মত প্রকাশ করতে পারতো। গণতন্ত্রের নিশ্চয়তার দল হচ্ছে বিএনপি।

তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন নানা দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ: সাইফুল হক
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
উপদেষ্টা ও প্রশাসকমুক্ত সিটি কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান ইশরাকের
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না: মঈন খান