ইলনের আরও আগেই আমার বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত ছিল: ট্রাম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও সাবেক উপদেষ্টা ইলন মাস্কের মধ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এক সরকারি বিল ঘিরে। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, 'ইলন আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এতে আমি কিছু মনে করিনি। বরং তার আরও আগেই এমনটা করা উচিত ছিল।'
ট্রাম্পের মতে, এই বিলটি মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া ‘সবচেয়ে মানবিক’ বিলগুলোর একটি। তিনি বলেন, 'যদি এটি পাস না হতো, তাহলে জনগণের ওপর ৬৮ শতাংশ অতিরিক্ত করের বোঝা চাপত। আমি সমস্যা বাড়াতে আসিনি, সমাধান দিতেই এসেছি। এই বিল আমেরিকাকে নতুন এক শক্তিশালী পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্প ও মাস্কের ঘনিষ্ঠতা শুরু হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালেই। তখন মাস্ক নিয়মিত রিপাবলিকান প্রার্থীর সভায় হাজির থাকতেন এবং নির্বাচনের আগেই ইঙ্গিত দেন, ট্রাম্প জয়ী হলে তাকে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেই ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডজ) নামে নতুন দপ্তর গঠন করেন এবং মাস্ককে এর প্রধান নিযুক্ত করেন।
ডজের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মাস্ক সরকারি ব্যয়ের অযথা অপচয় রোধে ব্যাপক ছাঁটাই করেন। হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় বৈদেশিক সহায়তা ও দেশীয় গবেষণা-উন্নয়ন খাতের ভর্তুকি। এই সিদ্ধান্তগুলোর ফলে দেশজুড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।
সরকারি কর্মী ছাঁটাই, গবেষণা খাতের অর্থ সংকোচন ও বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। একই সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টি ও কংগ্রেসের অনেক সদস্য মাস্কের নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এখনো পর্যন্ত ডজকে একটি স্বীকৃত সরকারি বিভাগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি মার্কিন কংগ্রেস।
এসব ঘটনার মধ্যেই ট্রাম্প নতুন একটি কর সংস্কার বিল কংগ্রেসে পাস করান, যা ঘিরে নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়ান তিনি ও মাস্ক। গত মাসে পাস হওয়া এই বিলকে ট্রাম্প আখ্যা দেন ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’। কিন্তু মাস্ক বলেন, এই বিলের মাধ্যমে তার নেতৃত্বে নেয়া ব্যয় সংকোচনমূলক সব পদক্ষেপ বৃথা হয়ে যাবে।
মাস্ক অভিযোগ করেন, বিলটি তাকে দেখানো হয়নি এবং তার অজান্তেই কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে। এই বিরোধের মধ্যেই তিনি ডজের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ট্রাম্প তার এই বিদায়কে ‘স্বাগত’ জানান।
সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর মাস্ক এখন বিলটির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণায় নেমেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের মালিকানাধীন এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
এর জবাবে হোয়াইট হাউজে এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, 'মাস্ক এই বিলের বিরোধিতা করছেন মূলত ব্যক্তিগত কারণে। কারণ, কর সংস্কার বিলের প্রভাব সরাসরি তার মালিকানাধীন টেসলার ওপর পড়বে।'
বর্তমানে ট্রাম্প ও মাস্কের এই দ্বন্দ্ব মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব কত দূর গড়াবে?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের …

ঈদের দিনে ৪২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজায় ঈদুল আজহার দিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ …

ঈদের দিনে গাজাবাসীর জন্য দুঃসংবাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঈদের দিনে দুঃসংবাদ পেয়েছে গাজাবাসী। উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণে …
